ভাষাবিজ্ঞান হল ‘science of language’ । বিজ্ঞানের এই শাখাটি কতগুলি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য রয়েছে। যথা-
প্রথমত : ভাষা চর্চা ও আলোচনার ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ বিজ্ঞান নির্ভর পদ্ধতি এখানে প্রয়োগ করা হয়।
দ্বিতীয়ত : বিজ্ঞানের প্রচলিত পদ্ধতি মেনে তথ্য সংগ্রহ, তার বিন্যাস ও বিশ্লেষণ এবং অবশেষে সাধারন সূত্রে পৌঁছানো হয়।
তৃতীয়ত : গবেষণা লব্ধ সূত্রের পূর্ব শর্ত অনুযায়ী প্রাপ্তসুত্তকে কারণ (Cause), ফল (Effect), প্রতিক্রিয়া (Reaction)-র পরিচিত কাঠামোতে যাচাই করা হয় এবং তারপরই স্বীকৃতি দেওয়া হয় সূত্রটি কে।
চতুর্থত : বিশেষ বিশেষ জাতি বা জনগোষ্ঠীর ভাব বিনিময়ের মাধ্যমে হিসেবে ভাষাকে দেখা হয় বলে সেইসব মানুষের সাহিত্য সংস্কৃতির পরিচয় উঠে আসে ভাষা চর্চার মাধ্যমে।
পঞ্চমত : ভাষাবিজ্ঞানীরা কথ্যভাষায় রু বিশ্লেষণের অধিকতর মনোযোগী হন।
ষষ্ঠত্ব : ভাষায় ধ্বনি, শব্দ, বাক্য গঠনের বিজ্ঞানভিত্তিক বিশ্লেষণ হলো ভাষাবিজ্ঞানের মূল কথা।
সপ্তমত : ভাষাবিজ্ঞান মানুষের মুখে ভাষাকে গুরুত্ব দিয়ে ভাষার গঠন, প্রকৃতি পদ্ধতি আলোচনা করে।
অষ্টমত : বিজ্ঞানের মতোই ভাষাবিজ্ঞানের সর্বদা পদ্ধতি, প্রাপ্য বিষয়ে এবং Linguistic law-এর সংশোধন, পরিবর্তন ও পরিধমন করা হয়।
নবমত : ভাষার সঙ্গে মানবমন, সাহিত্য, মানব ভাষা, কি স্নায়ুতন্ত্রের সম্পর্ক ও ভাষাবিজ্ঞানের আঙিনায় প্রবেশ করেছে।
পরিশেষে বলা চলে ভাষার অভ্যন্তরীণ গঠন, ইতিহাস, জন্ম, বিবর্তনই শুধু নয় ভাষা মানব সভ্যতায় কিভাবে কাজ করে তাও সামগ্রিকভাবে ভাষাবিজ্ঞানের অংশ।
দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা সমস্ত অধ্যায় অনুযায়ী তার সব প্রশ্নের উত্তর