সংজ্ঞা
ভাষা চর্চা ও আলোচনার ক্ষেত্রে ভাষাবিজ্ঞান যে তিনটি ধারা প্রচলিত ও স্বীকৃত তার মধ্যে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ধারাটি হলো ঐতিহাসিক ভাষাবিজ্ঞান। ভাষার উৎস-বিকাশ-বিবর্তন কে বিজ্ঞান ভিত্তিক দৃষ্টিভঙ্গিতে আলোচনা ও বিশ্লেষণ করা হয় যে শাখায়, তাকে ঐতিহাসিক ভাষাবিজ্ঞান বলে। কোন ভাষার উৎস বা বিবর্তনকে নানা বিজ্ঞান ভিত্তিক বিশ্লেষণ ও আলোচনার মাধ্যমে নিগূঢ় চর্চা করা হয়ে থাকে এই ধারায়। অর্থাৎ ভাষার কালে কালে রূপান্তরের বৈশিষ্ট্য গুলি বিশেষ প্রাধান্য পায় বলে ভাষাবিজ্ঞানীর এই শাখার অপর নাম কালানুক্রমিক ভাষাবিজ্ঞান।
ক্ষেত্র
ব্যক্তি নিরপেক্ষভাবে একটি ভাষা সম্প্রদায়ের প্রচলিত ভাষাটি কিভাবে কালে কালে বিবর্তিত হয়ে চলে তার মাধ্যমিক সেই ভাষার বিবর্তন তত্ত্ব বা জাতীয় বৃত্তীয় ভাষাতত্ত্ব গঠিত হয়।
বিভাগ
দীর্ঘ প্রবাহের যে অতীতের স্তর গুলি রয়েছে, তাই ঐতিহাসিক ভাষাবিজ্ঞানের বিষয়। এই দুটি ভাগ – (১) ঐতিহাসিক (২) প্রাগৈতিহাসিক। ইতিহাসে লিখিত উপাদান পাওয়া যায় যে সময় থেকে, বর্তমানে পূর্ব পর্যন্ত সেই ধারা হলো ইতিহাসিক পর্ব। আর সেই কাল সীমা পেরিয়ে যে অন্তত অতীত, সেখানে লেখ্য প্রমাণাদি পাওয়া যায় না সেটি হল প্রাগৈতিহাসিক পর্ব। ঐতিহাসিক বিভাগে রয়েছে প্রত্নলিপি, পুথি, শিলালিপি ইত্যাদি চর্চা। আর প্রাগৈতিহাসিক বিভাগে থাকে ভাষার অনুমানের ইতিহাস অন্বেষণ, বংশগত সম্পর্ক। এটি নির্ণয়ে চারটি পদ্ধতি অনুসৃত হয়।
১. অভ্যন্তরীণ গঠন।
২. বাহ্য পূর্ণগঠন
৩. উপভাষাগত ভূগোল।
৪. শব্দক্ষয় ও সৃষ্টি।
দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা সমস্ত অধ্যায় অনুযায়ী তার সব প্রশ্নের উত্তর