ভারত দাতা বাংলার ক্রীড়া সংস্কৃতিতে হকির গুরুত্ব আলোচনা করো? অথবা, হকি খেলায় ভারতের স্থান নিরূপণ করো?

ফ্রান্সের ‘হকেট’ নামের খেলাটির ইংল্যান্ডে ‘হকে’ নামে আগমন ঘটে, যা বর্তমানে হকি নামে সারাবিশ্বে প্রচলিত। ১৯২৪ খ্রিস্টাব্দের ৭ নভেম্বর গোয়ালিয়রে ভারতীয় হকি ফেডারেশন গ্রোথ হয় কর্নেস সি ই লউয়আর্ডকএ সভাপতি এবং এইচ এন আনসারিকে সম্পাদক করে। ১৯২৮ খ্রিস্টাব্দের প্রথম ভারত সরকারিভাবে খেতা বর্জন এবং ভারতীয় হকি দল একজন অভিসরণীয় কৃতিত্বের স্বাক্ষ্য বহন করে ১৯২৮, ১৯৩২, ১৯৩৬, ১৯৪৮, ১৯৫২, ১৯৫৬ খ্রিস্টাব্দে।

গুরুত্ব

বাংলা হকি সংস্থা গঠিত হয় ১৯৩১ খ্রিস্টাব্দে। বাংলা সরকারের আইন উপদেষ্টা টিভি বেটন-এর কাপ দিয়ে ১৮৯৫ খ্রিস্টাব্দ থেকে কলকাতায় বেটন কাপ প্রতিযোগিতায় আরম্ভ এবং এর প্রথম প্রাপক ন্যাভার ভ্যালেন্টিয়ার্স দল বর্তমানে রেঞ্জার্স ক্লাব। পশ্চিমবঙ্গের হকের প্রচার ও প্রসারের কুমারের শ্রেণীর নাম অত্যন্ত শ্রদ্ধার সঙ্গে আজও স্মরণীয়। পরাধীন ভারতের রেঞ্জার্স ক্লাব বাংলায় হকি চালু করে এবং ১৮৯৫ থেকে টানা নয় বছর বেটন কাপ জিতে বাংলার মুখ উজ্জ্বল করে।

ভারতের অন্যতম বিখ্যাত হকি খেলোয়াড় ধ্যানচাঁদ কলকাতার ময়দানে হকি খেলার কথা বার বার স্মরণ করেছেন তার আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ ‘গোল’-এ। ১৯৪৮ খ্রিস্টাব্দে লন্ডন, ১৯৫২ খ্রিস্টাব্দে হেলসিঙ্কি, ১৯৫৬ খ্রিস্টাব্দের মেলর্বোন, এই তিনবার‌ই অলিম্পিকের শোনা যেতেন ভারত। তিনবার ভারতীয় দলে খেলেছেন ধ্যানচাঁদ। ক্রীড়া ক্ষেত্রে তার অবদানের জন্য ভারত সরকার তাকে ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দে পদ্মশ্রীতে ভূষিত করে।

বাংলার উজ্জ্বল হকি খেলোয়াড় হলেন পরপর তিনবার অলিম্পিক পদ্মকজয়ী লেসলি ক্লডিয়াস, কেশব দত্ত, ভেজ পেজ।

দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা সমস্ত অধ্যায় অনুযায়ী তার সব প্রশ্নের উত্তর

Leave a Comment