গুরুত্ব
অনুমান করে বলা যায় সম্ভবত পশ্চিম ভারতে খো খো খেলার সূত্রপাত হয়। এছাড়াও গুজরাট, মধ্যপ্রদেশ ও মহারাষ্ট্রের সীমান্তবর্তী ও গ্রামগুলিতে বিচিত্র নামেই জনপ্রিয় খেলা টি চালু ছিল। ১৯১৪ খ্রিস্টাব্দের পুনরায় ডেকান মারাঠা জিমখানায় সরকারি উদ্যোগে খো খো খেলার শুরু হলেও তেমনভাবে জনপ্রিয়তা পায়নি। তখন এই খেলাটি শোলাপুরি খোকন আমি পরিচিত ছিল। কালক্রমে ১৯৩৩ খ্রিস্টাব্দে মহারাষ্ট্রের নাসিকে খেলার নিয়ম কানুন নির্দিষ্ট হয়। ১৯৫৬ খ্রিস্টাব্দে মহারাষ্ট্রের শ্রী ভাই নুরুলকারের নেতৃত্বে ভারতীয় খো খো সংস্থা গড়ে ওঠে।
বাংলায় লোক ক্রীড়ায় খো খো জাতীয় খেলার চল থাকলেও ১৯৫৬ খ্রিস্টাব্দে ভূপতি মজুমদারের নেতৃত্বে বাংলা এই খেলা নবোদ্যমে শুরু হয়। ১৯৬৩ খ্রিস্টাব্দে থেকে ভারতীয় খো খো ফেডারেশন শ্রেষ্ঠ খেলোয়াড় হিসেবে পুরুষদের একলব্য এবং মহিলাদের রানী লক্ষ্মীবাঈ পুরস্কার দেওয়া শুরু হয়। ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দে পাতিয়ালার প্রথম সরকারি প্রশিক্ষণ শিবের উজ্জ্বল ছাত্র বাংলার প্রবণরায়। ১৯৮২ খ্রিস্টাব্দে দিল্লির নবম এশিয়ান গেমসে খো খো খেলাকে প্রদর্শনী মূলক খেলা হিসেবে স্থান দেওয়া হয়। ১৯৮৭ খ্রিস্টাব্দে রাশিয়ায় ও ভারতের প্রদর্শনী দল খো খো খেলতে যায়। ফনী ভট্টাচার্য, দিলীপ রায়, প্রবন রায় পশ্চিমবঙ্গে এই খেলাটি জনপ্রিয়তার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেন।
দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা সমস্ত অধ্যায় অনুযায়ী তার সব প্রশ্নের উত্তর