“বুদ্ধিটা কি করে এলো তা বলি।” -‘বুদ্ধি’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে? বুদ্ধিটা কেমন করে এসেছিল, তা লেখ?

বাংলা নাট্য আন্দোলনের অন্যতম পুরোধা শম্ভু মিত্রের ‘বিভাব’ নাটক থেকে উক্তিটি গৃহীত। ‘বুদ্ধি’ বলতে নাটকের অভিনয় প্রয়োগ কৌশল বা আঙ্গিকের এক আশ্চর্য প্রয়োগ কে বোঝানো হয়েছে।

‘বহুরূপী’ তখন তীব্র অর্থনৈতিক সংকটে জর্জরিত। এই প্রেক্ষিতে তারা বেছে নিয়েছিলেন এক নতুন নাট্য আঙ্গিক। ভালো মঞ্চ, মঞ্চোসজ্জা, সিনসিনারি ছাড়াই নাটক অভিনয় করার রীতি অবশ্য কোন নতুন আবিষ্কার নয়। দেশীয় এবং বিদেশি ঐতিহ্যের গভীরেই ছিল এর শিকড়, যার সন্ধান পেয়েছিলেন শম্ভু মিত্র।

নতুন নাট্য রীতি উদ্ভাবনের জন্য চার প্রকার নাট্য রীতি তাদের প্রেরণা জুগিয়েছিল। পুরনো বাংলা নাটক-যেখানে রাজার রথে চড়ার ভঙ্গিতে দেখা গেল রথ বা ঘোড়ার দরকার হয় না। উড়ে যাত্রার রাজা দূতকে ঘোড়ায় চোরের দ্রুত খবর আনা নির্দেশ দিলে দূত দু পায়ের মাঝে লাঠি গুলি এমনভাবে প্রস্থান ও প্রবেশ করে যাতে দর্শকরা বুঝে নিল দূত ঘোড়ায় চড়ে গেছে আর এসেছে। মারাঠি তামাশা এক অসহায় চাষে প্রথমে জমিদারের কাছে, পরে মন্দিরের পুরোহিতের কাছে তার দুঃখ নিবেদন করেছে।

আবার একই ব্যক্তি সামান্য বেশ বদলে জমিদার ও পুরোহিতের অভিনয় করছে। জাপানি কাবুকি থিয়েটার সম্বন্ধে রুশ চিত্র পরিচালক আইজেনস্টাইনের লেখা পড়ে জাপানি থিয়েটারের ভঙ্গি সম্পর্কে জেনেছে। সেখানে বিভিন্ন আকারে দুর্গ দ্বারের মাধ্যমে perspective রচনা, কল্পিত যুদ্ধ ও অঙ্গভঙ্গি করে আর্টিস্টিক ও এসথএটইক মৃত্যুর দৃশ্য রচনা নাট্যকার শম্ভু মিত্র কে নতুন ধারায় নাটকের উদ্বুদ্ধ করে।

দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা সমস্ত অধ্যায় অনুযায়ী তার সব প্রশ্নের উত্তর

Leave a Comment