বাংলাসাহিত্যে সর্বপ্রথম সফল গ্রহসন রচয়িতা মাইকেল মধুসূদন দত্তের ‘একেই কি বলে সভ্যতা?’ এবং ‘বুড় সালিকের ঘাড়ে রোঁ’ প্রকাশিত হয় ১৮৬০ খ্রিস্টাব্দে। এর আগে ১৮৫৪ সালে রামনারায়ণ তর্করত্নের ‘কুলীন কুলসর্বস্ব’ প্রকাশিত হয় কিন্তু তাঁর কাহিনীতে একটি বিস্তৃত সামাজিক প্রেক্ষাপট বিধৃত হওয়ায়, এবং তাঁর সমাজচেতনা বিশেষভাবে সক্রিয় থাকায় প্রহসনটি সূক্ষ্ম হাস্যরস সৃষ্টিতে ব্যর্থ হয়। ইংরেজী Comedy of Humours মত এই নাটকে সামাজিক দুর্নীতি, কুসংস্কার ও কুপ্রথার তির্যক বিশ্লেষণ করতে গিয়ে এর আবেদনকে বিস্তৃত ও বাস্তবমুখী করা হয়েছে। গুরুগম্ভীর একটি পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে যার মেজাজ প্রহসনের অনুকূলে নয়। এসব কারণে ‘কুলীন কুলসর্বস্ব’ প্রহসন হিসাবে যথাযথ নয়। মাইকেল ইংরেজী Farce-এর সরাসরি রূপান্তর ঘটান বাংলা ভাষায়। মাইকেলের সমসাময়িক দীনবন্ধু মিত্র, মহেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়, শিমুয়েল পীরবক্স ও পরবর্তীকালে উপেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য, অমৃতলাল বসু প্রমুখ বাংলা প্রহসনের একটি ধারাকে প্রতিষ্ঠিত করতে প্রয়াসী হন। তাঁদের বিভিন্ন নাটকে, এবং দীনবন্ধুর নীলদর্পণের মত বিষাদউদ্দিষ্ট নাটকের বিভিন্ন হাস্যকৌতুক অংশেও Farce-এর প্রয়োগ দেখা যায়। কিন্তু মাইকেলের মত তাঁরা শিল্পোত্তীর্ণ হতে পারেনি। তাঁদের সীমাবদ্ধতার বিভিন্ন কারণ ছিল। প্রহসনের যে কোন প্রতিষ্ঠিত সংজ্ঞায় যে ক’টি উপাদানের উপর জোর দেওয়া হয়েছে, তাদের মধ্যে আছে “প্রথমত, সূক্ষ্ম চাতুর্যের সংগে ঘটনাসৃষ্টির প্রবণতা, দ্বিতীয়ত, চরিত্র ও সংলাপ মুখ্যতা, তৃতীয়ত, চাতুর্যপূর্ণ নাট্য-সিচুয়েশান সৃষ্টির বৈচিত্র্য, চতুর্থত, হাস্যরস উদ্রেক (বাংলা নাটক, নাট্যত্বত্ত্ব ও রঙ্গমঞ্চ প্রসঙ্গ – প্রদ্যোত সেনগুপ্ত) পঞ্চমত, একটি অংকের মধ্যে কাহিনীর বিচরণ, ষষ্ঠত, উদ্ভট চরিত্র সৃষ্টি, সপ্তমত, হাল্কা, কৌতুকপূর্ণ পরিবেশ, অষ্টমত, হাস্যরস সৃষ্টিতে শারীরিক অঙ্গভঙ্গি ও কৌশলগত নাট্যপ্রয়োগের ব্যবহার ইত্যাদি।”
একজন পাশ্চাত্য সমালোচকের মতে Farce “বুদ্ধি বিবেচনা প্রসূত কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে প্রতিবাদমুখর; বস্তুত সভ্যতার যে কোনো ধরনের গুরুভার অবশ্যপালনীয় রীতিনীতির বিরুদ্ধেই ………সোচ্চার …. ফার্স এমন একটি শিল্পধরন যা মানুষের সুসভ্য সম্মানজ্ঞান, কর্তব্যবোধ এবং দোষবোধের প্রতি চরম অবহেলা প্রদর্শন করে”। সংস্কৃত পণ্ডিত ও আলঙ্কারিকগণও প্রহসনের শোধন প্রক্রিয়া সম্বন্ধে একই ধরনের মত পোষণ করেন। তাঁদের মতে, প্রহসন সমাজের “কুরীতি শোধনার্থে” লিখিত “হাস্যরস প্রধান একাঙ্কিকা নাটক” (সাহিত্য সন্দর্শন – শ্রীশচন্দ্র দাস)। একাঙ্কিকা বিধায় প্রহসনের পরিসর স্বাভাবিকভাবেই সীমিত।
কিন্তু উপরোক্ত উপাদানসমূহ এবং উদ্দেশ্য নিয়ে সীমিত পরিসরে প্রহসন যে কর্তব্য পালন করে তার লক্ষ্যই হ’ল সামাজিক সংকট, অনাচার এবং অবক্ষয়ের অবসান ঘটিয়ে সুস্থতা, সৃজনশীলতা এবং সামাজিক সৌজন্য ফিরিয়ে আনা। অনেকটা কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলার মত। প্রচলিত সংজ্ঞার মিলনাত্তক ও বিয়োগান্তক নাটকের বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় বিয়োগান্তক নাটকের শুরু সাধারণত শান্ত ও আপাতঃস্থিতিশীল পরিবেশে, শেষ চরম অশান্তি আর বিশৃঙ্খলায়। কিন্তু প্রহসনের শেষে এ ধরনের কোনো সুনির্দিষ্ট পরিবেশ সৃষ্টির প্রচেষ্টা পরিলক্ষিত হয় না। যদি কোনো পরিণতি দেখানো হয়ে থাকে, যেমন মাইকেলের ‘বুড় সালিকের ঘাড়ে রোঁ’-এ, তা অবশ্যই আরোপিত জীবনে যে সত্যিকার পরিবর্তন আসতে পারে না, এ সন্দেহজনক সত্যটি মেনে নিয়েও দর্শক নাটকটির হাস্যরস এবং সামাজিক বিদ্রূপ উপভোগ করেন। দুষ্টের দমনের চাইতে দুষ্টামির দমনটিই সেখানে প্রধান। নাটকের পরিণতির যে একটি প্রতীকী অর্থ আছে দর্শক তা-ই ধরে রাখেন কাহিনীর শেষে।
বাংলা সাহিত্যে উনিশ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ে প্রহসনের প্রথম আবির্ভাবের আগে তেমন কোনো সুচিহ্নিত নাট্যধারার প্রতিষ্ঠা হয়নি। ১৮৫২ সালে জি. সি. গুপ্তের “কীর্তিবিলাস” প্রকাশিত হয়, যা বাংলা সাহিত্যে প্রথম মৌলিক নাটক। বাংলা নাটকে প্রহসনের আবির্ভাব ট্র্যাজেডি ও কমেডির প্রায় সমসাময়িক। তবে মাইকেল নিজে এ বিষয়ে সচেতন ছিলেন যে প্রহসন প্রথমে আসা উচিৎ নয়। ‘বুড় সালিকের ঘাড়ে রোঁ প্রহসনটির যখন তিনি প্রথম পরিকল্পনা করেন, যে অবস্থায় নাটকটির নাম “ভগ্ন শিবমন্দির” দেবেন বলে মনস্থ করেন, সে সময় তিনি এভাবে প্রহসনের স্থান নির্ণয় করেন– “…… as yet we have not established a National Theatre, I mean, we have not as yet got a body of sound, classical drama to regulate the national taste and therefore we ought not to have Farces.”
নাটকের আদি অবস্থায় নাট্যাভিনয় প্রধানত ধর্মীয় ঘটনা ছিল। তাই দেবতার মন্দির বা মন্দির প্রাঙ্গন নাট্যমঞ্চ হিসাবে যথেষ্ট ছিল। মাইকেলের আমলে যে সামাজিক পরিবর্তন সূচিত হয়েছিল, তার প্রভাবে একদিকে যেমন ইয়ং বেঙ্গলের শিক্ষাপ্রাপ্ত বাবুরা সমাজের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করতে গিয়ে নিজেরাই নানারূপ অসমাজিক কার্যকলাপে আসক্ত হয়ে পড়লেন, অন্যদিকে তেমনি শিক্ষিত সমাজ কুসংস্কার ও ধর্মান্ধতার প্রভাব থেকে সমাজকে বের করে আনতে ও নব্য-অনাচার যথা জুয়াখেলা ও মদ্যপানের কুফলের প্রতি সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সচেষ্ট হয়েছিল। এ অবস্থাটি বাস্তবিকই প্রহসনের জন্য বিশেষ উপযোগী ছিল। মাইকেলের কাল, তাঁর চেতনা, চরিত্র ও ধ্যানধারণা ভাবনার সাথে প্রহসনদুটির বেশ সাদৃশ্য দেখা যায়। মাইকেলের দুটি প্রহসনই বাংলা সাহিত্যে গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন।
মাইকেলের প্রহসন দু’টির গুণগত বিশ্লেষণ করলে ‘বুড় সালিকের ঘাড়ে রোঁ’র উৎকর্ষ প্রমাণিত হবে। কাহিনী, ঘটনা সৃষ্টি, হাস্যরস উদ্ভাবন, সংঘাত ও দ্বন্দ্ব এবং অন্যান্য প্রেক্ষিত থেকে প্রহসনটি ‘একেই কি বলে সভ্যতা’-র চাইতে উচ্চাঙ্গের বিবেচিত হবে। এই শ্রেষ্ঠত্বের কারণ নির্ণয় কিন্তু খুব সহজ নয়। কারণ, দুটি নাটকেই সমাজে প্রচলিত কিছু আচার ব্যবহার, অবস্থান ও প্রতিষ্ঠানকে ব্যঙ্গ করা হয়েছে হাস্যকৌতুকের মাধ্যমে। উভয় ক্ষেত্রেই ভাষা তীর্যক, শ্লেষাত্মক এবং প্রবলভাবে কার্যকরী। চরিত্রায়ণও অত্যন্ত দক্ষতার সাথে করা হয়েছে, যদিও ‘একেই কি বলে সভ্যতা’য় কিছুটা অযথার্থতা পরিলক্ষিত হয়। আসল তফাৎটি মাইকেলের গ্রহণের কৌশলের মধ্যে নিহিত। ‘একেই কি বলে সভ্যতা’য় যে শহুরে মেকী সভ্যতা ও অপসংস্কৃতির উপর আঘাত হেনেছেন তিনি, তার সমাজের প্রচুর সাদৃশ্য রয়েছে। ‘একেই কি বলে সভ্যতা’ প্রহসনে মাইকেলের পরিক্রমণের পরিধি ততটা বিস্তৃত নয় যতটা ‘বুড় সালিকের ঘাড়ে রোঁ’-এ। ‘বুড় সালিকের ঘাড়ে রোঁ’-এর প্রেক্ষাপট গ্রামীণ এবং বক ধার্মিকতার সাথে সাম্প্রদায়িক সহ-অবস্থানের একটি অত্যন্ত রাস্তব এবং জটিল চিত্র তিনি উপস্থিত করেছেন। ‘বুড় সালিকের ঘাড়ে রোঁ’-এর কাহিনী স্বয়ং কোলকাতাসহ বাংলার যে কোনো অংশের জন্য প্রযোজ্য। এই নাটকে চরিত্র বেশী। ধনী-দরিদ্র, বকধার্মিক ধর্মপ্রাণ সাধারণ মানুষ, ভূস্বামী-প্রজা, ধনী আত্মীয়, গরীব কৃপাপ্রার্থী, হিন্দু মুসলমান ইত্যাদি মান ও অবস্থানগত সংঘাত এই নাটকে প্রচুর। তুলনায় ‘একেই কি বলে সভ্যতা’য় শুধু বৃদ্ধ-তরুণ, ধার্মিক নাস্তিক ছাড়া তেমন প্রবল প্রতিপক্ষসমূহ নেই, যাদের সংঘর্ষে নাটক গতিময় হবে। শেষ পর্যন্ত বাবাজীকেও ঘুষ গ্রহণের মাধ্যমে পক্ষান্তরী হতে দেখা যাচ্ছে। এসব কারণে “বুড় সালিকের ঘাড়ে রোঁ”তে এক ধরনের সম্ভাবনাপূর্ণ কমেডি পাওয়া যায় যা ‘একেই কি বলে সভ্যতা’য় অনুপস্থিত। মাইকেল অত্যন্ত দক্ষতার সাথে এই সম্ভাবনার পূর্ণ ব্যবহার করেছেন।
‘একেই কি বলে সভ্যতা’ প্রহসনে যে সমস্ত ত্রুটি ছিল সেগুলি ‘বুড় সালিকের ঘাড়ে রোঁ’-এ প্রায় নেই। এই নাটকে দ্বন্দ্ব সংঘাতের গভীরতা আছে এবং তার পরিধিও বিস্তৃত। হিন্দু বকধার্মিক ও মুসলমান সরলপ্রাণা গৃহবধূকে এরূপ একটি সংঘাতের কেন্দ্রে স্থাপন করে মাইকেল নাটকে যুগপৎ প্রাণ সঞ্চার করেছেন এবং তাঁর সামাজিক উদ্দেশ্যসমূহও সাধন করেছেন। এই মুসলমান চরিত্র ব্যবহার আপাতঃদৃষ্টিতে হাস্যরসের পাশাপাশি একজন বকধার্মিকের পাপ বাসনার সাথে একটি বুদ্ধিমতী গ্রাম্য মেয়ের চরিত্রের সংঘাত সৃষ্টির উদ্দেশ্যের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ হলেও বস্তুত intrigue-এর প্রয়োজনে তার ব্যবহার ছিল মুখ্য উদ্দেশ্য।
“এই প্রহসন নকসার সীমা থেকে উত্তীর্ণ হয়ে একটি ষড়যন্ত্রমূলক (intrigue) কাহিনীর পরিণাম ঘোষণা করেছে। ‘একেই কি বলে সভ্যতায়’ কোনো পরিণত ঘটনা ছিল না, কিন্তু দ্বিতীয় প্রহসনে সে ত্রুটি ঢাকা পড়ে গেছে। ‘একেই কি সভ্যতার’ চেয়ে ‘বুড় সালিকের ঘাড়ে রো’ অনেক বেশী সফল হয়েছে।- [বাংলা সাহিত্যের ইতিবৃত্ত (সপ্তম খণ্ড)- অসিতকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়।]
প্রহসনটিতে অবশ্য intrigue-এর কমতি নেই, ভক্তবাবু ফন্দি আঁটে পরস্ত্রী ভোগের জন্য, গদাধর ও পুঁটি ফন্দি আঁটে তাদের সরবরাহ করার জন্য। হানিফ ও বাচস্পতি ও হানিফ ও ফাতেমা সবচেয়ে মারাত্মক ফন্দি আঁটে কৰ্ত্তাবাবুকে তার নিজের খেলায় পরাস্ত করার জন্য। এ ছাড়া রয়েছে intrigue-এর পরিবেশ, যাতে আছে রহস্য ও রোমাঞ্চ। ভগ্ন শিবমন্দিরের পাশে রাতের অন্ধকারে যে দৃশ্যের অবতারণা হয়েছে তা এই intrigue-এর সফল পরিসমাপ্তি।
“বুড় সালিকের ঘাড়ে রোঁ”-র আবহ পুরোপুরি দেশজ। যশোর-খুলনা-চব্বিশ পরগণা। অঞ্চলের আঞ্চলিক ভাষা ব্যবহারের ফলে তা আরো অর্থপূর্ণ হয়েছে। মাইকেল সচেতন শিল্পী ছিলেন, প্রহসনে- যেখানে নাট্যকারকে মাঝে মাঝেই অতিসচেতন হতে হয়—এই গুণ কাজে লেগেছে। একটি একটি করে সামাজিক সমস্যাগুলি তিনি বিশ্বস্ততার সাথে উপস্থাপন করেছেন। ভূস্বামী-প্রজার সম্পর্ক, খাজনা আদায়ের কঠোর পন্থাসমূহ ও দরিদ্র লোকজনের বাস্তব অবস্থা ইত্যাদি প্রথম দৃশ্যে ফুটিয়ে তোলার পরই বকর্ধামিক এবং দুশ্চরিত্রতার প্রসঙ্গটি প্রধান করে তুলে ধরেছেন।
এই নাটকে মাইকেল একটি চিরন্তন বিষয়বস্তুর সন্ধান পেয়েছেন বলে তাঁর শিল্পের সফল উত্তরণ ঘাটিয়েছেন কাহিনী ও চরিত্র সৃষ্টিতে এবং প্রহসনের অনুষঙ্গ নির্মাণে। হানিফ ও ফাতেমার চরিত্র অত্যন্ত সাদামাটা কিন্তু জোরালো। তাদের রয়েছে একধরনের শক্তিশালী আবেদন। ভক্তবাবু চরিত্রটি একটু বেশী বক্র হলেও সফল, কারণ ভক্তবাবু কোনো বিশেষ ব্যক্তি না হয়ে বরং নাটকে একটি type বা প্রতিভূচরিত্র হিসাবে বেশী কার্যকর। এমন কি স্বল্প পরিসরে পঞ্চীর চরিত্রটিও চমৎকার। কমেডির চরিত্রসমূহও বর্ণনা এবং ঘটনার দ্বিবিধ সংযোগে উপস্থাপিত হয়। খণ্ড খণ্ড দৃশ্যের চরিত্রায়ণ ভাষা ও বর্ণনার গুণে উজ্জ্বল হয়ে ওঠে।
ফাতেমার মধ্যে মাইকেল নায়িকাদের একাধিক গুণ অর্পণ করেছেন— তার সহজাত আবেদন, লাস্যময়তা, বাকপটুতা, intrigue-এর প্রতি বিশ্বস্ততা একটি বিশেষ দেশজ বাঙালী গুণ হিসাবে যুক্ত হয়েছে। ফাতেমাকে কেন্দ্র করেই “বুড় সালিকের ঘাড়ে রোঁ” কাহিনী গতিময় হয়েছে। একটি মেয়ের কর্মকাণ্ডকে হাস্যরসের নাটকে এতখানি প্রাধান্য এর আগে কেউ দিয়েছেন বলে মনে হয় না। প্রহসনটি তাই এদিক দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ।