‘বার্ধক্যপীড়িত রোগজর্জর কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কর্মমুখর সত্যের জগতে পূর্ণর্বার প্রবেশের অঙ্গীকারবদ্ধ- ‘রূপনারানের কূলে’ কবিতাটি অবলম্বনে বক্তব্যটি সততা যাচাই করো?

ভূমিকা

‘হে নূতন দেখা দি ক আরবার জন্মের প্রথম শুভক্ষণ’ -রবীন্দ্রনাথ পালিত শেষ জন্মদিনে অশীতিপর রবীন্দ্রনাথ কতৃক রচিত হয় এই সংগীত। জ্বর আর তীব্র ক্রূকুটি নিয়ে, মরনের দুয়ার প্রান্তে দাঁড়িয়ে থাকা কবির প্রাণ নতুনের জন্য উন্মুখ ও উৎসুক। তার এই অনুরূপ বোধের সঙ্গে একীভূত ‘রূপনারানের কূলে’ কবিতাটি।

কবির চিরকালীন আকাঙ্ক্ষা

জীবনের প্রতি প্রগাঢ় আর শক্তি থেকেই রবি জীবনে বারবার অনুভূত হয়েছে ব্যথা ও বিচ্ছেদের বোধ। মৃত্যু কবি কে বারবার আঘাত করেছে, তবুও জীবনের আবহানকে তিনি অস্বীকার করেননি কখন‌ও। প্রচন্ড কর্মের গতিশীলতার মধ্যেও কবি জীবন এগিয়ে গিয়েছে আজীবন। মন তার বাধাহীন ও চঞ্চল হলেও, পতি পদে বাধা দিয়ে শরীর। কবি প্রাণ তাই ব্যথিত, তিনি অত্যন্ত আর একবার চান কর্মমুখর তীব্র স্রোতে অবগাহন করতে। কবি জানেন বাস্তব জগত তথা সত্যের জগত আছে দুঃখ, আছে আঘাত। তবু তাকেই নিবিড় ও গভীরভাবে আলিঙ্গন করতে চান তিনি। কারণ ‘আমৃত্যুর দুঃখের তপস্যা’ এ জীবনে চরম সত্য তথা ‘পরম প্রিয়কে লাভ করাই কবির চিরকালীন আকাঙ্ক্ষা। সত্য ও বাস্তবের কাঠিন্যের সিঁড়ি বেয়েই পরম অমৃতলোকের মধুর জগতে পৌঁছে যেতে চান তিনি। যেখানে মৃত্যুও হয়ে ওঠে অম্লান অর্থপূর্ণ, যথার্থ স্বার্থক সুন্দর।

দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা সমস্ত অধ্যায় অনুযায়ী তার সব প্রশ্নের উত্তর

Leave a Comment