বাঙালি ক্রীড়া ইতিহাসে টেবিল টেনিস এর গুরুত্ব আলোচনা করো?

গুরুত্ব

টেবিল টেনিস বা পিংপং খেলার সূত্র বাদে ইতিহাসে আজও অনাবিষ্কৃত, তবে 1902 খ্রিস্টাব্দ থেকে এই খেলা ইংল্যান্ডের ব্যাপকভাবে প্রসার লাভ করে। কলকাতা ১৯১০ খ্রিস্টাব্দে ওয়াইএমসি তে টেবিল টেনিস খেলা শুরু হয়। অতঃক্লাব খেলার মধ্যে দিয়ে ১৯২৫ খ্রিস্টাব্দের প্রথম প্রতিযোগিতা প্রারম্ভ। মুসলিম ইনস্টিটিউট এবং ক্যালকাটা ইউনিভার্সিটি ইন্সটিটিউট এর প্রতিনিধিরা একত্রিত হয়ে ১৯৩৩ খ্রিস্টাব্দে প্রথম একটি বেসরকারি অ্যাসোসিয়েশন গড়ে তোলেন এবং সেই বছরের জুন মাসে এরা অল বেঙ্গল পিংপং টুর্নামেন্ট নাম দিয়ে প্রথম প্রাদেশিক প্রতিযোগিতার আয়োজন করেন।

১৯৩৮ খ্রিস্টাব্দে জুলাই মাসে ভারতবর্ষের সরকারিভাবে সর্বপ্রথম টেবিল টেনিস এসোসিয়েশন বেঙ্গলি টেবিল টেনিস অ্যাসোসিয়েশন প্রতিষ্ঠা হয় সিএস প্যাটারসন, আমার মুখার্জি এবং ডা. এ এন সিংহ প্রমুখদের উদ্যোগে। ১৯৩৮ খ্রিস্টাব্দে ৭ সেপ্টেম্বর ক্যালকাটা সাউথ ক্লাব অফ ইন্ডিয়া টেবিল টেনিস এসোসিয়েশন তৈরি এবং অন্তঃরাজ্য টেবিল টেনিস প্রতিযোগিতা প্রবর্তিত হয়। ১৯৩৯ খ্রিস্টাব্দে থেকে মহিলাদের সিঙ্গেলস প্রতিযোগিতা এবং ১৯৪৬ থেকে মহিলাদের দলগত প্রতিযোগিতা এই জাতীয় ও আন্তঃরাজ্য প্রতিযোগিতায় অন্তর্ভুক্ত হয়।

উত্তরবঙ্গের শিলিগুড়ি টেবিল টেনিসহ হিসেবে পরিচিত পাই একাধিক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্তরের খেলোয়াড় উপহার দিয়ে। শিলিগুড়ি ভারতীয় ঘোষকে ‘টেবিল টেনিসের দ্রোণাচার্য’ বলা হয়। এছাড়া শিলিগুড়ি জাতীয় চ্যাম্পিয়নদের মধ্যে রয়েছে মান্তু ঘোষ, কস্তুরী চক্রবর্তী। পর পর তিনবার ১৯৯৬, ১৯৯৮ ও ১৯৯৯ খ্রিস্টাব্দে পশ্চিমবঙ্গের পৌলমী ঘটক জুনিয়র ন্যাশনাল চ্যাম্পিয়নশীপ খেতাব অর্জন করেন। ভারতের একমাত্র মহিলা টেবিল টেনিস খেলোয়াড় হিসাবে অঙ্কিতা দাস প্রতিনিধিত্ব করেন দেশের হয়ে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে। আর একজন বাঙালি টেবিল টেনিস খেলোয়াড় হলেন অনিন্দিতা চক্রবর্তী, মৌমা দাস, অনির্বাণ নন্দী, সৌম্যদীপ রায় প্রমুখ।

দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা সমস্ত অধ্যায় অনুযায়ী তার সব প্রশ্নের উত্তর

Leave a Comment