বাঙালির ফুটবল চর্চার ইতিহাসে গোষ্ঠ পালের অবদান আলোচনা করো?

বাঙালির ফুটবল চর্চার ইতিহাসে যেসব ব্যক্তিবর্গ সসম্মানে আজও বিরাজিত গোষ্ঠ পাল ১৮৯৬-১৯৭৬ খ্রিস্টাব্দে তাদের মধ্যে অন্যতম। রক্ষণের খেলার জন্য খ্যাতি লাভ করেছিলেন, দৈনিক ইংলিশম্যান তাকে চীনের প্রাচীন বলতেন।

ক্রীড়া ভুবন

বর্তমানে বাংলাদেশের ফরিদপুর জেলার গোষ্ঠ পালের আদিবাসী ছিল। ছোটবেলা থেকেই তিনি ছিলেন ফুটবলাসক্ত। ১৯৬০ থেকে ১৯১৩ খ্রিস্টাব্দে পর্যন্ত তিনি কলকাতার কুমারটুলি ক্লাবে খেলেন। মোহনবাগানের খেলোয়াড় রাজেন সেন এর সাহায্যে তিনি ১৯১২ খ্রিস্টাব্দে মোহনবাগানে যোগ দেন। এর আগের বছরই মোহনবাগান বিদেশিদের হারিয়ে আই. এফ. এ সিল্ড জয় করেছিলেন। ১৯১৩ খ্রিস্টাব্দে মোহনবাগানের হয়ে তিনি প্রথম খেলেন। গোষ্ঠ পালের আমলে মোহনবাগান রোভার্স বা ডুরান্ড কোন ট্রফি যেতেনি। তাহলে তার কৃতিত্বটা কোথায়? আসলে শক্তিমান সাহেব দল গুলোর সঙ্গে সমান সমান লড়াই কড়াই ছিল এদেশের ক্লাবগুলো লক্ষ্য, যে কাজে গোষ্ঠ ও মোহনবাগানের ক্লাব বিশেষ পারদর্শিতা দেখায়।

ক্যালকাটা ক্লাব, উরস্টার্স, নর্থ স্ট্যাফর্ড, লিস্টার্স, হ‌ইল্যান্ড ইনফ্যান্টি- প্রায় সবার বিপক্ষে মোহনবাগান তীব্র লড়াই করে তুলেছিল। প্রায় সবার বিপক্ষে মোহনবাগান তীব্র লড়াই গড়ে তুলেছিল। তার খেলার বৈশিষ্ট্য ছিল লম্বা কিক, নির্ভয় ট্যাকলিং, ঠান্ডা মাথায় প্রতিপক্ষকে তাড়া করা। তিনি এক সংবর্ধনা সভায় বলেছেন, “মোহনবাগানের জার্সির জন্য এই লোককে আমাকে চেনে, এই জার্সি আমাকে খেলা শিখিয়েছে, এটা আমার প্রিয়, আমি একে আমার মায়ের মত শ্রদ্ধা করি।”

সম্মান

১৯৬২ খ্রিস্টাব্দে গোষ্ঠ পাল ভারত সরকার দ্বারা পদ্মশ্রী পান। তিনি ছিলেন প্রথম ফুটবল খেলোয়াড় যিনি পদ্মশ্রী উপাধি পান। মোহনবাগান ক্লাব ২০০৮ খ্রিস্টাব্দে মরনোত্তর মোহনবাগান রত্ন দিয়েছিল। কলকাতায় তার নামে গোষ্ঠ পাল স্মরণীয় আছে।

দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা সমস্ত অধ্যায় অনুযায়ী তার সব প্রশ্নের উত্তর

Leave a Comment