অবদান
পরাধীন ভারতবর্ষের ব্রতচারীর মাধ্যমে গুরুসদয় দত্ত (১৮৮২-১৯৪১) শরীরচর্চা ও স্বাদেশিকতার জাগরণ ঘটায়। মানসিক বৃত্তির উন্নতি সাধন ও শরীর চর্চা কতটা উপযোগী, তা তিনি নিত্য গীত সহযোগে এই ব্রতচারী শিক্ষায় অনুপ্রবেশ ঘটায়। মূলত গুরুসদয় দত্তের ব্রতচারী গানগুলি বাংলায় লেখা হলেও পরবর্তীকালে তার সেরা ভারতবর্ষ ব্যাপী বিভিন্ন ভাষায় অনূদিত হয়ে ব্রতচারী শিক্ষাকে সুদূরপ্রসারিত করে। ‘চল কোদাল চালাই/ভুলে মনের বলাই’- এই জাতীয় গানের মধ্যে দিয়ে একই সঙ্গে শরীর গঠন, দেশত্মবোধ ওর সমাজসেবার আদর্শ উদ্বুদ্ধ হয়ে ব্রতচারী শিক্ষার্থীররা শ্রমের মাধ্যমে খেলা কেই শিক্ষা অঙ্গ করেছিলেন।
জ্ঞান, শ্রম, সত্য, একতা এবং আনন্দই পাঁচটি ব্রত আজও ব্রতচারী শিক্ষায় গ্রাম থেকে শহরে বালক-বালিকা, কিশোর-কিশোরীদের উদ্বুদ্ধ করে। ১৯৩২ খ্রিস্টাব্দে ‘ব্রতচারী লোক নৃত্য সমিতি’ স্থাপনের মধ্য দিয়ে এই আদর্শের সূত্রপাত। ১৯৪১ খ্রিস্টাব্দের ২৪ পরগনায় জোকা অঞ্চলের তৈরি হয় ব্রতচারী গ্রাম এবং ব্রতচারী জনশিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ব্রতচারী নৃত্যের মধ্যে পল্লী বাংলার নৌকা চলাচলের ভঙ্গি, কোদাল চালানোর ভঙ্গি প্রভৃতি যেমন অনুকরণ করা হয়েছে ; তেমনি মহান পদাপাদিত্য ও মানসিংহের যুদ্ধে অভিনয়ের মধ্যে দিয়ে বীররস, দেহচর্চা ও স্বাদেশিক মনোভঙ্গির প্রচুর আবেদন নিবেদন রয়েছে।
দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা সমস্ত অধ্যায় অনুযায়ী তার সব প্রশ্নের উত্তর