অবদান
পুরাণে কথিত আছে শ্রীকৃষ্ণ গোপাল বালকদের সঙ্গে হাডুডু খেলতেন। এই হাডুডু খেলাটি পরবর্তীকালে কাবাডি নামে বিশ্ব বিখ্যাত হয়। বলা বাহুল্য, ভারতের বিভিন্ন স্থানে কাবারে নানা নামে পরিচিত লাভ করেছে। যেমন -দক্ষিণ ভারতের চী-ডু-গু-ডু, মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ ও গুজরাটে হাটুটু, কেরল ওয়ান্ডিকালি, উত্তর ভারতের কাবাডি এবং পশ্চিমবঙ্গে হাডুডু। অষ্টম সর্বভারতীয় কাবাডি প্রতিযোগিতায় ১৯৪৮ খ্রিস্টাব্দে কলকাতায় অনুষ্ঠিত হয় এবং ১৯৫৫ খ্রিস্টাব্দে ইডেন উদ্যানে প্রথমবার মেয়েদের কাবাডি প্রতিযোগিতা ইতিহাস সৃষ্টি করে।
১৯৮০ খ্রিস্টাব্দে কলকাতায় প্রথম এশিয়ান কাবাডি প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয় কলকাতা তথা বাংলা আর একবার কাবাডি ইতিহাস চিরস্মরণীয়তা পায়। পশ্চিমবঙ্গ কাবাডিকে জনপ্রিয় করেন নারায়ন চন্দ্র ঘোষ। ১৯৯১ খ্রিস্টাব্দে পশ্চিমবঙ্গ কাবাডি অ্যাসোসিয়েশন তৈরি হলে কাবাডি খেলোয়াড়স স্বীকৃতি ও লোক প্রিয়তা বেড়ে যায়। ভূপতি মজুমদার, সরোজমোন রায়চৌধুরীর পৃষ্ঠপোষকতা এই দুরূহ কাজকে সহজ করেছিল ফোনি ভট্টাচার্য, রনজিত ধর, অচিন্ত্য সাহা বাংলার কাবাডি খেলার ইতিহাসে চিরস্মরণীয় ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব।
দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা সমস্ত অধ্যায় অনুযায়ী তার সব প্রশ্নের উত্তর