বাংলা গানের ধারায় পক্ষীর দলের গানের অবদান আলোচনা করো?

অবদান

পক্ষীর দলের বেড়ে ওঠা ঊনবিংশ শতকের কলকাতার বাবুবিলাসের অনুসঙ্গে। তৎকালীন কলকাতায় বাবুসমাজ একটা স্বতন্ত্র সংস্কৃতি গড়ে তুলেছিল। সেই সংস্কৃতি দিয়ে একটি বিশেষ ধারা ‘পক্ষীর দলের গান’। এই গানে সমাজের বহু ধরনের সমস্যা বা সামাজিক জীবনচিত্র ফুটে উঠেছে। মূলত গানগুলি ছিল বিবৃতিধর্মী আর নিপুণ্যতা ছিল সাংবাদিকতা ধর্মী। সম্ভবতই অনেক ক্ষেত্রে গানগুলিতে মিলিয়ে ছিল হাস্যরসের রস মাধুর্য। এই পক্ষীর দলের গান প্রতিষ্ঠাতার নাম বিষয়েও দ্বিমত রয়েছে। একটি ক্ষেত্রে রাজা নব কৃষ্ণদেবের পরিষদ শিবচন্দ্র ঠাকুর এই দলের প্রতিষ্ঠাতা হিসাবে স্বীকৃতি পেয়েছে।

অন্যদিকে শ্রদ্ধেয় ঈশ্বর গুপ্তের মাতানোযায়ী বাবু রাম নারায়ণ মিশ্র এই দলের প্রতিষ্ঠাতা। শোভা বাজার বটতলা নিবাসী রামচন্দ্র মিত্রের আটচালার এই সূত্রপাত আর সমাজের সঙ্গে জড়িয়ে এর কলবের বৃদ্ধ। পক্ষীর দলের গান এর উল্লেখযোগ্য শিল্পী ছিলেন গৌর হরিদাস মহাপাত্র, যারা ছিলেন রূপচাঁদ পক্ষী নামে। নিধু বাবুর সঙ্গে এই দলের একটি নিবিড় যোগসূত্র গড়ে উঠেছিল। এই রূপচাঁদ পক্ষীর জাতি মালা নামের শখের পাঁচালী দলগড়েও সবিশেষ খ্যাতি করিয়ে নিয়েছিলেন। কলকাতাইয়া বাবু কালাচারের পরিমণ্ডলে গড়ে ওঠা পক্ষীর দলের গান শেষ পর্যন্ত সেকালের জীবনের চালচিত্র হয়ে উঠতে পেরেছিল।

দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা সমস্ত অধ্যায় অনুযায়ী তার সব প্রশ্নের উত্তর

Leave a Comment