বাংলা গানের আদি পর্ব সম্পর্কে যা জানো লেখো ?

চর্যাগীতি বাংলার প্রাচীনতম গান

সূচনা পূর্বে বাংলা সাহিত্য এবং সংগীত এক নিবিড় অন্তরঙ্গ তার পরস্পরের সঙ্গে সংযুক্ত ছিল। আদি পর্ব থেকেই তাই সাহিত্য ধরার সঙ্গে সংগীতের ধারা অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত। ‘চার্য গীতি’ বাংলা সাহিত্যধারা তথা বাংলা গানের প্রাচীনতম নির্দেশনের সাক্ষ্য বহন করে। যদিও এর পূর্বে গুপ্ত এবং পাল যুগের বাংলা গীতিচর্চা উৎকর্ষ লাভ করে। বাংলা গানের প্রাচীন যুগের সময়সীমা খ্রিস্টীয় অষ্টম শতাব্দী থেকে পঞ্চদশ শতাব্দী পর্যন্ত বিস্তৃত। আনুমানিক অষ্টম থেকে দ্বাদশ শতাব্দীর মধ্যে চর্যাগীতির পাশাপাশি নাথ গীতি, চিত্র হোলির চর্চা বলতে যা পর্যাপ্ত নির্দেশন এর অভাবে স্বীকৃতি পায়নি।

কীর্তন গানের বিষয়

পর্যাপদের পরবর্তী সময় বাংলা গানের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য উদাহরণ বৈষম্য পদাবলী ও কীর্তন। বড়ু চন্ডীদাসের ‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তন’ থেকে শুরু করে বিদ্যাপতি, চন্ডীদাস, জ্ঞানদাস, গোবিন্দ দাস প্রমুখের ছোঁয়ায়ে এই পর্বের গান সমৃদ্ধ হয়েছিল। এই পদাবলী তথাকীর্তন গানের বিষয় ছিল রাধা কৃষ্ণের প্রেমলীলা।

মঙ্গল কাব্যের মূল বৈশিষ্ট্য

দীর্ঘ কাহিনী আশ্রিত মঙ্গল কাব্য গুলির মধ্যে কথা সাহিত্যের বৈশিষ্ট্য থাকলেও এগুলি মূলত গীতিধর্মী। মনসামঙ্গল, চন্ডীমঙ্গল, ধর্মমঙ্গল, অন্নদা মঙ্গল সুদীর্ঘ সময় ধরে সংগীত প্রিয় বাঙালি গীতি পিপাসা তৃপ্ত রেখেছিল। মঙ্গলকাব্য গুলির মধ্যে নানা ধরনের রাগরাগিণী উল্লেখ থেকে বোঝা যায় মঙ্গল কাব্যের করিবা (বিজয় গুপ্ত, নারায়ন দেব, কবিকঙ্কণ মুকুন্দ চক্রবর্তী প্রমুখ) সংগীত শাস্ত্রেও যথেষ্ট পারদর্শী ছিলেন।

দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা সমস্ত অধ্যায় অনুযায়ী তার সব প্রশ্নের উত্তর

Leave a Comment