বাংলার কুস্তি চর্চার বহমান ইতিহাসে মাঝে মাঝে ধুলোর চাদরে ঢাকা পড়ে যায় এমন কিছু মানুষের কৃতিত্ব, ইতিহাস খুঁড়ে উদ্ধার করলেও দেখা যায় তার প্রকৃতই ছিল হীরক খন্ড। ১৮৮৩ খ্রিস্টাব্দে কলকাতা শহরে জন্মগ্রহণ করেন তেমনি হীরক খন্ড ফণীন্দ্রকৃষ্ণ গুপ্ত। পিতা গোসাইদাস গুপ্ত ছিলেন কুস্তিবিদ।
শিক্ষা
খনীন্দ্রকৃষ্ণ স্কুলের পাঠ সমাপ্ত করে ভর্তি হন মেট্রোপলিটন কলেজে, তারপরে সেন্টাল কলেজ। তারপর ১৯০৮ খ্রিস্টাব্দে তিনি কলকাতা মেডিকেল কলেজ থেকে ডাক্তারি পাস করেন।
কুস্তি চর্চায় কৃতিত্ব
১৯৯০ খ্রিষ্টাব্দ নাগাদ ফনীন্দ্রকৃষ্ণ অম্বিকা চরণ গুহ বা রাজাবাবুর আখড়ায় কুস্তি চর্চার জন্য ভর্তি হন। প্রতিদিন ভোরে তিনি কুস্তি লড়তেন ও বিকালে প্রতিদিন ভোরে তিনি কুস্তি লড়তেন ও বিকালে ডাম্বেল নিয়ে ব্যায়াম করতেন। অম্বিকা চরণের মৃত্যুর পর ফনীন্দ্রকৃষ্ণ স্বগৃহে আখড়া খোলেন। এখানে বাঙালি ও পশ্চিম দেশীয় যুবকরা কুস্তি শিখতে আসত। তিনি ডাক্তারি দারুন বহু কঠিন অসুখ সারিয়েছিলেন শুধু ব্যায়াম শিক্ষার মারফত। ১৯২৩-২৪ খ্রিস্টাব্দে all India championship of westling tournament-এ ফনি কৃষ্ণ মুর্শিদাবাদের নবাবের সঙ্গে যৌথভাবে মধ্যস্থতা করেন।
প্রভাব
দেহকে সুস্থ, নিরোগ, পেশিবহুল, শক্তিশালী করে তোলার জন্য দেহ চর্চার প্রচলন ও দেহ চর্চাকে বাংলা তথা ভারতের জনপ্রিয় করে তোলার অন্যতম কারিগর ছিলেন ফনীন্দ্রকৃষ্ণ গুপ্ত। তার মৃত্যুতে কুস্তি জগতে ক্ষতি হলেও অমিত রায়ের ‘Enlightment step by step’ গ্রন্থ থেকে বলা যায়, Champions never sleep, the eternal spirit keep them alert and awake.” স্টাইল ওহ মানব নীলমণি ডান্স ছিলেন তার সুযোগ্য ছাত্র
দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা সমস্ত অধ্যায় অনুযায়ী তার সব প্রশ্নের উত্তর