পাল রাজবংশ
অষ্টম শতকে বাংলাদেশের পাল রাজ্য বংশের পতন হলে সামাজিক রাজনৈতিক অরাজকতা ও অস্থিরতার প্রেক্ষাপটে শান্তির বার্তাবরণ ফিরে আসে। এই রাজ বংশের প্রতিষ্ঠাতা গোপাল বৌদ্ধ ধর্ম গ্রহণ করেন। এর পুত্র ধর্মপাল ৭৭০-৮১০ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত প্রায় 40 বছরের রাজত্বের ক্ষুদ্র এক ভূখণ্ডকে প্রায় সাম্রাজ্যের সার্বভৌমত্ব দেন। ধর্মপাল তার প্রজাকুলের সামনে থেকে নৈরাজ্যের স্মৃতি পর্যন্ত অবলুপ্ত করতে সমর্থন হন। এর পুত্র দেবপালই এই রাজ্য বংশের শ্রেষ্ঠ নৃপিত, যিনি বাংলার ইতিহাসে এক গৌরবোজ্জ্বল রাজতদের ঐতিহ্যময়তা সৃজন করে। পরবর্তী রাজারা ও বৌদ্ধ ছিলেন। তাই বৌদ্ধ ধর্ম ও বৌদ্ধ বিহারী গুলি এদের পৃষ্ঠপোষকতা লাভ করেছিল, শিক্ষা-শিল্প-সংস্কৃতি চর্চার ক্ষেত্রে এদের অবদান অনস্বীকার্য। দ্বাদশ শতকের শেষে এই রাজবংশের অবসান ঘটে।
পাল যুগের চিত্রকলা
বাংলার প্রাপ্ত প্রথম চিত্রনির্দেশন টি প্রথম মহিপালের রাজত্বের ষষ্ঠ রাজ্যদ্বে, আনুমানিক ৯৮৩ খ্রিস্টাব্দে রচিত। নালন্দা মহাবিহারের সাহিত্য ‘অষ্টসহস্রিকা-প্রজ্ঞা পারমিতা’ পুথির তালপত্রে আঁকা বারটি রঙিন চিত্র এগুলি। পাল রাজাদের প্রায় সাড়ে চারশো বছরের রাজত্বকালে এমন অনেক চিত্রিত পুথি তাদের শিল্পচর্চা পোষণার পরিচয়। এরে রাজত্বে চিত্রপাড়া ছাড়াও স্থাপত্য, ভাস্কর্য যে বিপুল সমাধনের সঙ্গে চর্চিত হত, তার বহু প্রমাণ আছে।
রাজা ধর্মপাল দক্ষিণ বিহারের ২ মহাবিহার ওদন্তপুরী ও বিক্রমশিলা এবং উত্তরবঙ্গের সম্পর্ক বিহারের সংস্থাপক ছিলেন। দেবপাল ও প্রথম মহিপাল এর আমলেও বহু চিত্র, ভাস্কর্য, স্থাপত্যের নির্দেশন রয়েছে। এই সময় প্রস্তর ও ধাতু মূর্তি প্রাধান্য পায়। এদের রাজত্বেই বিখ্যাত ভাস্কর তথা চিত্রশিল্পী ধিমান ও তার পুত্র বীট পালের উদ্ভব। বিশেষত বুদ্ধজীব অবলম্বনে রচিত যে চিত্রসমূহ পাল যুগে পাওয়া গেছে, তা ভারতীয় শিল্পের ইতিহাসে সুবর্ণ সুযোগের নমুনা।
দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা সমস্ত অধ্যায় অনুযায়ী তার সব প্রশ্নের উত্তর