ফুটবল ভারতের সবক্ষেত্রের মতো বাংলাতে প্রচলিত হয় ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর হাত ধরে। ১৮৫৮ খ্রিস্টাব্দে এপ্রিল মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে ময়দানের ফুটবল খেলার বর্ণনা পাওয়া যায়। যদিও খেলাটি ইংরেজদের দুটো দল -‘সিভিলিয়ানস অফ ক্যালকাটা’ ও ‘জেন্টলম্যান অফ ব্যারাকপুর’ -এর মধ্যেই হয়। ১৮৭২ খ্রিস্টাব্দে স্থাপিত ক্যালকাটা এস সি বাংলা তথা ভারতের প্রথম ফুটবল ক্লাব। তারপর ডালহৌসি ক্লাব, স্টেডস ক্লাব, ন্যাভাল ভাল্যানটির্য়াস ইফতারি ক্লাবগুলো গড়ে ওঠে।
সূচনা পর্ব
ফুটবলকে বাঙালির প্রিয় খেলার রূপান্তরিকরণে কারিগর বাংলা তথা ভারতীয় ফুটবলে প্রাতঃস্মরণীয় ব্যক্তিত্ব নগেন্দ্র প্রসাদ সারবাধিকারী। হেয়ার স্কুলে পড়ানোর সময় থেকে ফুটবল খেলা শুরু করে ক্রমে ফ্রেন্ডস ক্লাব, ওয়েলিংটন ক্লাব, বয়েজ ক্লাব ও প্রেসিডেন্সি ক্লাব প্রতিষ্ঠা করেন নগেন্দ্র প্রসাদ। ১৮৯২ খ্রিস্টাব্দে সমস্ত ইউরোপীয় ক্লাবকে পরাজিত করে নরেন্দ্র প্রসাদের শোভা বাজার ক্লাব স্টেডস কাপ জিতে নেয়। ১৮৯৩ খ্রিস্টাব্দের প্রথমবার অনুষ্ঠিত আইএফএ ফিল্ড প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে শোভা বাজার ক্লাব। নগেন্দ্র প্রসাদের উদ্যোগে বাংলার ফুটবল খেলার স্বর্ণোজ্জ্বল যুগের সূচনা হয় ১৯১১ খ্রিস্টাব্দে প্রথম ভারতীয় ক্লাব হিসেবে মোহনবাগান ক্লাবে (১৮৮৯) আইএফএ সিল্ড জয়ের মধ্যে দিয়ে।
এছাড়াও বাঙ্গালী ফুটবলারদের মধ্যে ভাস্কর গাঙ্গুলী, অতনু ভটচার্জ, গোষ্ঠ পাল, শৈলেন মান্না, সুব্রত ভটচার্জ, প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়, বিকাশ পাজি, চুনি গোস্বামী, পিকে ব্যানার্জি, বাইচুং ভুটিয়া প্রমুখের নাম উল্লেখযোগ্য।
দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা সমস্ত অধ্যায় অনুযায়ী তার সব প্রশ্নের উত্তর