বক্তা
‘অলৌকিক’ গল্পটিতে আমার আলোচ্য উক্তিটি করতে দেখি বলী কান্ধারি কে। গুরু নানকের শীর্ষ মর্দানা যখন প্রবল তৃষ্ণায় কাতর হয়ে তার শরণাপন্ন হয়েছিল তখন তিনি এই উক্তিটি করেন।
বলী কান্ধারি চরিত্র
বলী কান্ধারি ছিলেন একজন দরবেশ বা সাধু। তিনি হাসান আব্দালের জঙ্গলে এক পাহাড়ের চূড়ায় কুটির বেঁধে বাস করতেন। তিনি দরবেশ বা সাধু হলেও প্রবল অহংবোধ সম্পন্ন ব্যক্তি ছিলেন। তৃষ্ণায় কাতর মর্দানার ‘পীর নানকের সঙ্গী’ জানার পরে তিনি মর্দানাকে তেষ্টার জল টুকুও দেননি, তাড়িয়ে দিয়েছে।
জীব প্রেম বিষয়টি তার স্বভাববিরোধী। অথচ তিনি সাধু পরিচয় ভন্ডামি করেন। তিনি একজন হৃদয়হীন মানুষ, কেবল গুরু নানককে প্রতিস্পর্ধী ভেবে তার শিষ্য মর্দানাকে শরণাগত হতে দেখেও বলী কান্ধারি তাকে এক বিন্দু জল দেয়নি। তিনি সংকীর্ণ সম্প্রদায়িক ভেদ বুদ্ধির অধিকারী। ভিন্নমতের বা ধর্মের মানুষ মর্দানাকে তিনি ‘কাফেরের শিষ্য’ হিসেবে বিচার করে নিজের ক্ষুদ্র মনের পরিচয় দিয়েছেন। প্রকৃতির দান যে জল, সেই জলের উপরেও তিনি নিজের কর্তৃত্ব কায়েম করতে চেয়েছেন। তিনি একজন প্রতিহিংসা পরায়ণ মানুষ, যে কারণে গুরু নানকের হত্যা করলেও সচেষ্ট হয়েছে।
উপসংহার
অতএত, তিনি কোনমতেই সাধু তো ছিলেনই না ; বরং তিনি যে একজন নিন্দীয় মানুষ, তা প্রমাণ হয়ে যায়।
দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা সমস্ত অধ্যায় অনুযায়ী তার সব প্রশ্নের উত্তর