বর্তমান ভারতের প্রচলিত উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা উদ্দেশ্য

বর্তমানে আমাদের দেশের প্রচলিত উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষার উদ্দেশ্য গুলি নিয়ে আলোচনা করা হলো

১ শিক্ষার্থীর বিকাশ সাধন

উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষার অন্যতম উদ্দেশ্য হলো শিক্ষার্থীর সর্বাধিক বিকাশ সাধন। শিক্ষার্থীরা সর্বাঙ্গিক বিকাশ সাধনের জন্য ভাষা, সাহিত্য, গণিত, ভূগোল, ইত্যাদি জ্ঞান বিভাগ সাধারণ বিষয়ে ওই বিভিন্ন কর্ম অভিজ্ঞতামূলক বিষয়ে শিক্ষাদানের উপর গুরুত্ব অনেক করা হয়েছে।

২ গণতান্ত্রিক বোধের বিকাশ

উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অন্যতম উদ্দেশ্য হলো শিক্ষার্থীকে উপযুক্ত শিক্ষাদানের মাধ্যমে আধুনিক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের উপযুক্ত দায়িত্বশীল সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলা।

৩ বৃত্তি শিক্ষা

শিক্ষার্থীর আগ্রহ, সামর্থ্য, চাহিদা, প্রবণতা অনুসারে তাকে বৃত্তি শিক্ষাদানের ব্যবস্থা করাই হলো উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষার উদ্দেশ্য। শিক্ষার্থী ভবিষ্যৎ জীবনে যাতে উপযুক্ত বৃত্তি নির্বাচন করতে পারে এবং সেই বিষয়ে বিশেষ দক্ষতা অর্জন করতে পারে সেদিকে লক্ষ্য রেখে শিক্ষাদানের ব্যবস্থা করা।

৪ সামাজিক ও সংস্কৃতির বিকাশের সহায়তা

উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষার একটি অন্যতম উদ্দেশ্য হলো সামাজিক সংস্কৃতির বিকাশের সহায়তা করা। উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের রীতিনীতি,-আচরণ, লোকাচার, লোকনীতি, সংস্কৃতি প্রভৃতির সঙ্গে পরিচিতি ঘটবে সমাজ সংস্কৃতির উন্নয়ন ঘটনো। এর দ্বারা শিক্ষার্থীর মধ্যে সামাজিক মূল্যবোধের যেমন বিকাশ ঘটবে তেমনি শিক্ষার্থী একজন সমাজ সচেতন নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠবে ।

৫ শারীরিক শিক্ষা

শিক্ষার্থীর মধ্যে দৈহিক ও মানসিক থেকে সুস্বাস্থ্যভাস গঠন উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষার উদ্দেশ্য। বিভিন্ন ধরনের খেলাধুলা, যোগব্যায়াম, শাড়ি চর্চা প্রভৃতির মাধ্যমে শিক্ষার্থীর মধ্যে সু-অভ্যাস গঠন করা।

৬ সৃজনাত্মক ক্ষমতার বিকাশ

উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষার উদ্দেশ্য হলো শিক্ষার্থীর মধ্যে সৃজনাত্মক ক্ষমতা বিকাশ ঘটানো। বিভিন্ন পাঠ্যক্রমিক কার্যবলিতে ও সামাজিক সংস্কৃতি অনুষ্ঠানের যোগদানের মাধ্যমে এবং হাতে কলমে কর্ম অভিজ্ঞতার দ্বারা শিক্ষার্থীর সুপ্ত প্রতিভার বিকাশ সাধন।

৭ সৌন্দর্যবোধের বিকাশ

উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অপর একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্দেশ্য হলো শিক্ষার্থীর মধ্যে সৌন্দর্যবোধের বিকাশ ঘটানো। বিভিন্ন ধরনের সহপাঠক্রমিক কার্যাবলী যেমন- ছবি আঁকা, ক্লাস রুম পরিষ্কার রাখা, কাগজ দিয়ে বিভিন্ন ধরনের জিনিস তৈরি ইত্যাদির মাধ্যমে এই শিক্ষা স্তরে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিকাশ ঘটে।

৮ নৈতিক ও আধ্যাত্মিক বিকাশ

আধ্যাত্মিক মূল্যবোধ জাগ্রত করা হলো উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্দেশ্য।

৯ প্রগতিশীল ও বিজ্ঞানসম্মত মনোভাব গঠন

বর্তমান সময়সূচি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিদ্যার অবদানের দ্রুত পরিবর্তন হয়ে চলেছে। উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষকের দ্রুত পরিবর্তনশীল সময়ব্যবস্থার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এমনভাবে পরিকল্পনা করা উচিত যাতে শিক্ষার্থীর মধ্যে আধুনিক প্রগতিশীল বৈজ্ঞানিক মনোভাব সৃষ্টি হয়।

দ্বাদশ শ্রেণী শিক্ষাবিজ্ঞানের (education) সব প্রশ্ন উত্তর

Leave a Comment