ফলিত ভাষাবিজ্ঞানের একটি অন্যতম শাখা মনোভাষা বিজ্ঞান সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করো?

সংজ্ঞা

ফলিত ভাষাবিজ্ঞানের অন্যতম শাখা মনোভাষা বিজ্ঞান। ভাষা মানুষের মানসিক প্রতিক্রিয়ার বহিঃপ্রকাশ। ভাষা ব্যবহারের সঙ্গে গভীর সম্পর্ক রয়েছে মানুষের মনস্তাত্ত্বিক প্রক্রিয়ার। মানুষের ভাষিক আচরণ ও তার পেছনে নিহিত মনস্তাত্ত্বিক প্রতিক্রিয়া সম্পর্ক খুঁজে বের করা হয় ফলিত ভাষাবিজ্ঞানের যে শাখায়, তাকেই মনো ভাষাবিজ্ঞান বলা হয়।

ইতিহাস

মনস্তত্ত্ব মানুষের মনের গঠন ও মানসিক প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা করে। বনোভাষাবিজ্ঞান ভাষা ও মনের সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করে। মানুষ কিভাবে ভাষা শেখে এ গবেষণার ধারা ১৯৫৭ খ্রিস্টাব্দে নোয়াম মস্তিস্ক কই সেই ভাষা শেখার যন্ত্র Language Acquisition Devics (LAD)। পরে বলেন Language Acquisition System (LAS)। এই LAD-LAD মনো ভাষাবিজ্ঞানে নতুন পদ উমোচন করে।

ক্ষেত্র ও উদ্দেশ্য

মানব মনের গঠন, ভাষা শিক্ষার নানা দিকের সঙ্গে সঙ্গে মানসিক-প্রশ্চাদপদতাও যে ভাষার উপর প্রভাব ফেলে তা মনো ভাষা বিজ্ঞানীরা আলোচনা করে দেখান। ভাষার সঙ্গে অঙ্গাঙ্গী জড়িত মানুষের স্মৃতি, বুদ্ধি, উদ্বিগ্নতা ও প্রণোদনা এ কথাও খুঁজে পেয়েছেন তারা। ভাষা আয়ত্তের কৌশল, ভাষা ব্যবহারের দক্ষতা, ভাষার প্রয়োগ পদ্ধতি ইত্যাদি নিবিড় পর্যালোচনা করে মনো ভাষা বিজ্ঞানীরা ভাষা চর্চার অনালকিত দিনগুলো সামনে আনে। মনো ভাষাবিজ্ঞানের গবেষণায় স্নায়ু ভাষা বিজ্ঞানের গবেষণার উদ্দীপক।

মনো ভাষা বিজ্ঞানীরা খুঁজে দেখেন ভাষিক সংগঠন, মানুষের নানা মনস্তাত্ত্বিক প্রক্রিয়া-যেমন স্মৃতি, স্মরণ, মনোযোগ, বোধ, ব্যক্তিত্ব, মেধা, জ্ঞআনর্জনের মধ্যে সম্পর্ক।

দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা সমস্ত অধ্যায় অনুযায়ী তার সব প্রশ্নের উত্তর

Leave a Comment