প্রেষণার প্রক্রিয়া বা চক্র গুলি কি কি

প্রেষণাকে বিশ্লেষণ করলে চারটি পর্যায়ে পাওয়া যায়।

অভাব বোধ বা চাহিদা

প্রেষণা চক্রের প্রথম ও প্রধান স্তর হল চাহিদা বা অভাববোধ। বিভিন্ন কারণে ব্যাক্তির মধ্যে অভাববোধ সৃষ্টি হয়। যেমন – ক্ষুধা, তৃষ্ণা, পদমর্যাদা, মাতৃত্ব প্রেষণা ইত্যাদি।

তাড়না

পেছনের দ্বিতীয় অবস্থান হল তাড়না। চাহিদা ও অভাববোধ থেকে ব্যক্তির মধ্যে একটি অস্বস্তিকর অবস্থা সৃষ্টি হয়। এই অবস্থা ব্যক্তিকে চাহিদা পূরণের জন্য তাড়িত করে। চাহিদা পূরণের তাড়নায় ব্যক্তি সক্রিয় হয়ে ওঠে।

যেমন – কোনো ব্যক্তিকে যদি ১০ ঘণ্টা খাবার না দেওয়া হয় তাহলে তার দেহের অভ্যন্তরে অস্থির অবস্থা সৃষ্টি হয় এবং সে এই অবস্থা দূরীকরণে সচেষ্ট হয়ে ওঠে।

সহায়ক আচরণ

প্রেষণা চক্রের তৃতীয় অবস্থান হল সহায়ক আচরণ। ব্যক্তি তার অস্তিত্ব দূর করার জন্য কতগুলি বিশেষ আচরণ করে থাকে। অর্থাৎ উদ্দেশ্য বস্তু লাভের জন্য ব্যক্তির যেসব আচরণ করে তাকে সহায়ক আচরণ বলে।। যেমন – ক্ষুধার্ত ব্যাক্তি খাবারের অন্বেষণের চেষ্টা হলো আচরণ।

উদ্দেশ্য পূরণ

চক্রের সর্বশেষ স্তর হল উদ্দেশ্য পূরণ বা । লক্ষ্যবস্তুতে উপনীত হওয়া। লক্ষ্যবস্তুতে উপনীত হলে ব্যক্তির অস্বাভাবিক শারীরিক অবস্থা দূরীভূত হয় এবং সে পরিতৃপ্তি লাভ করে।

সুতরাং, একটি প্রেষণা চক্র সম্পূর্ণ হওয়ার পর মুহূর্তে ব্যক্তির মধ্যে আরো একটি নতুন প্রেষণা উন্মেষ ঘটে। অর্থাৎ জন্মের পর থেকে মৃত্যু পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে প্রেষণা চক্রাকরে আবর্তিত হয়।

দ্বাদশ শ্রেণী শিক্ষাবিজ্ঞানের (education) সব প্রশ্ন উত্তর

Leave a Comment