প্রাক্প্রাথমিক শিক্ষার ক্ষেত্রে সার্জেন্ট পরিকল্পনার সুপারিশসমূহ
প্রাক্প্রাথমিক শিক্ষার ক্ষেত্রে সার্জেন্ট পরিকল্পনায় অনেকগুলি মূল্যবান সুপারিশ করা হয়, সেগুলি হল一
(১) নার্সারি বিদ্যালয় স্থাপন: 3 থেকে 6 বছর বয়সে শিশুদের জন্য পৃথক নার্সারি বিদ্যালয় স্থাপন করা প্রয়ােজন।
(২) নার্সারি শ্রেণির ব্যবস্থা: নিম্নবুনিয়াদি বা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নার্সারি শ্রেণি খােলার ব্যবস্থা থাকা দরকার।
(৩) মহিলাশিক্ষক নিয়ােগ: নার্সারি বিদ্যালয়ে মূলত মহিলাশিক্ষকদের নিয়ােজিত করতে হবে।
(৪) শিক্ষিকা-প্রশিক্ষণ: নার্সারিতে পাঠদানের পূর্বে শিক্ষয়িত্রীদের উপযুক্ত প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতে হবে।
(৫) ঐচ্ছিক শিক্ষা: নার্সারি শিক্ষা অবশ্যই আবশ্যিক হবে না।
(৬) অবৈতনিক শিক্ষা: নার্সারি শিক্ষা বাধ্যতামূলক না হলেও তাকে সর্বদা অবৈতনিকরূপে হতে পরিচালনার ব্যবস্থা করতে হবে।
(৭) মাতৃভাষার মাধ্যমে শিক্ষা: নার্সারি শিক্ষা অবশ্যই মাতৃভাষার মাধ্যমে হতে হবে।
(৮) সচেতনতার প্রসার: নার্সারি শিক্ষা বা প্রাক প্রাথমিক শিক্ষা আবশ্যিক না হলেও অভিভাবক-অভিভাবিকাগণ। যাতে এই শিক্ষার প্রতি আগ্রহী হন এবং এই শিক্ষার উপকারিতা উপলব্ধি করতে পারেন—তার উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে হবে।
(৯) ব্যক্তিগত ও সামাজিক অভ্যাস গঠন: এই শিক্ষার লক্ষ্য হবে স্বাভাবিক উপায়ে শিশুদের মধ্যে ব্যক্তিগত ও সামাজিক অভ্যাস গড়ে তােলা।
প্রাথমিক শিক্ষার ক্ষেত্রে সার্জেন্ট পরিকল্পনার সুপারিশসমূহ
প্রাথমিক শিক্ষার ক্ষেত্রে সার্জেন্ট পরিকল্পনায় অনেক গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ করা হয়। সেগুলি হল一
(১) সর্বজনীন, বাধ্যতামূলক অবৈতনিক শিক্ষা: 6 থেকে 14 বছর বয়সি শিক্ষার্থীদের জন্য সর্বজনীন, বাধ্যতামূলক এবং অবৈতনিক শিক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে।
(২) নিম্ন ও উচ্চবুনিয়াদি স্তর বিভাজন: প্রাথমিক শিক্ষাস্তরকে দুটি পর্যায়ে বিভক্ত করতে হবে। এর একটি হবে 6 থেকে 11 বছর বয়সি শিক্ষার্থীদের জন্য নিম্নবুনিয়াদি স্তর এবং অন্যটি হবে 11 থেকে 14 বছর বয়সি শিক্ষার্থীদের জন্য উচ্চবুনিয়াদি স্তর।
(৩) খের কমিটি নির্ধারিত পাঠক্রম প্রণয়ন: খের কমিটি নির্ধারিত পাঠক্রমকেই প্রাথমিক শিক্ষার সাধারণ পাঠক্রম হিসেবে গ্রহণ করতে হবে।
(৪) কর্মকেন্দ্রিকতার নীতি গ্রহণ: শিক্ষায় কর্মকেন্দ্রিকতার নীতি গৃহীত হবে। তবে তার উদ্দেশ্য কখনােই আর্থিক স্বনির্ভরতা গড়ে তােলা হবে না। বরং এর মূল উদ্দেশ্য হবে এমন নাগরিক গড়ে তােলা, যারা নিজের কাজ নিজেরাই ভালােভাবে করে নিতে পারে।
(৫) মাতৃভাষার মাধ্যমে শিক্ষা: মাতৃভাষার মাধ্যমেই শিক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে।
(৬) মহিলা শিক্ষক নিয়োগ: প্রাথমিক শিক্ষায় পুরুষ শিক্ষকের পরিবর্তে অধিক সংখ্যক মহিলা শিক্ষক নিযুক্ত করতে হবে।
(৭) শিক্ষক-শিক্ষিকার বেতন বৃদ্ধি: প্রাথমিক শিক্ষার মান উন্নয়নে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বেতন বৃদ্ধি করতে হবে।