“প্রথম শুনলে ভারী হাসি পাবে।”- আলোচ্য অংশে কিসের কথা বলা হয়েছে? গারো পাহাড়ে নিজে বসবাসকারীদের ভাষা বৈচিত্র আলোচনা করো?

যার কথা বলা হয়েছে

সুভাষ মুখোপাধ্যায় রচিত ‘গারো পাহাড়ের নীচে’ প্রবন্ধে লেখক হাজং-ডালু জনজাতির ভাষার কথা বলেছেন। তাদের উচ্চারিত বাংলার শুনলে প্রথমে হাসি পাবে।

ভাষা বৈচিত্র

লেখক আলোচ্য প্রবন্ধ সুন্দরভাবে পাহাড়ের অধিবাসীদের ভাষা শৈলির বর্ণনা দিয়েছেন। মনের ভাব প্রকাশের মাধ্যম হলো ভাষা। ধান ও কালভেদে ভাষার মধ্যে আঞ্চলিক পার্থক্য পরিলক্ষিত হয়। পাঠ্যাংশে গারো পাহাড়ের অধিবাসীদের মধ্যে ভাষাগত নানান বৈচিত্র দেখা গিয়েছে।

ভাষা বৈচিত্রের উদাহরণ

গারো পাহাড়ে হাজং-গারো -কোচ-বানাই-ডালু-মার্গান নানা ধরনের অধিবাসীরা বাস করে। তাদের মধ্যে গারোর নিজস্ব ভাষা ব্যবহার করে। হাজং-ডালুরা বাংলা ভাষা ব্যবহার করলেও তাদের উচ্চারণ বৈশিষ্ট্যের সঙ্গে রাঢ় বাংলা কিছু প্রভেদ রয়েছে। তারা ‘ত’ – কে ‘ট’ বলে, ‘ট’ – কে ‘ত’, ‘ড’- কে ‘দ’- এবং ‘দ’- কে ‘ত’ বলে। এই উচ্চারণ প্রথমে শুনলে হাসি পাবে কিন্তু এটাই তাদের স্বতন্ত্র উচ্চারণ বৈশিষ্ট্য। এ প্রসঙ্গে প্রাবন্ধিক বলেছেন, “ভাবো তো, তোমার কাকার বয়সের একটা হৃষ্টপুষ্ট লোক দুধকে ডুড বলেছে, তামাককে টামাক।”

দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা সমস্ত অধ্যায় অনুযায়ী তার সব প্রশ্নের উত্তর

Leave a Comment