“পাঞ্জা সাহেবের পৌঁছে আশ্চর্য ঘটনার কথা জানতে পারি।”- ঘটনাটির সঙ্গে ঐতিহাসিক তথ্য লিপিবদ্ধ করো?

প্রসঙ্গ

কর্তার সিং দুগ্গাল রচিত ‘অলৌকিক’ গল্পে গল্পকথক তার ‘সাকা’ হওয়ার কথা শুনে মা ও ছোট বোনের সঙ্গে পাঞ্জা সাহেবের পৌঁছে শুনতে পানে আশ্চর্য ঘটনার কথা।

ঐতিহাসিক তথ্য

১৯২২ খ্রিস্টাব্দে ৮ আগস্ট ‘গুরু কা বাগ’ নামক গুরু দ্বারার সন্নিকটে এক পতিত জমি থেকে লঙ্গরখানায় রান্নার জন্য কাঠ কাটছিলেন পাঁচ জন শিখধর্মাবলম্বী ব্যক্তি। এই অপরাধে পুলিশ তাদের 50 টাকা জরিমানা ও দুই মাসের হাজতবাস ঘোষণা করে। এই শাস্তির বিরুদ্ধে শিরোমণি গুরুদ্বার প্রাবন্ধক কমিটি শুরু করে সরকারি বিরোধী আন্দোলন।

শেষ পর্যন্ত ম্যাজিস্ট্রেট আসলাম খান বিদ্রোহী শিখদের আড়াই বছরের কারাদণ্ড এবং প্রত্যেকের ১০০ টাকা জরিমানার আদেশ দেন এবং তাদের একটি ট্রেনে চাপিয়ে অমৃতসর থেকে থেকে আটকের উদ্দেশ্যে পাঠানো হয় ২৯ অক্টোবর রাতে। ৩১ তারিখ ট্রেনটি যাওয়ার কথা ছিল পাঞ্জা সাহেবের উপর দিয়ে এবং সেখানে শিখধর্মাবলম্বীরা সকাল থেকে খাদ্য ও পানীয় নিয়ে অপেক্ষা করছিল ট্রেন বন্দি কয়েদিদের জন্য।

কিন্তু স্টেশন মাস্টার তাদের জানালেন ওই স্টেশন ট্রেন নামবে না। দশটার সময় ট্রেন এসে পৌঁছালে স্টেশনের কাছে ভাই করম সিং রেল লাইনের উপর শুয়ে পড়লেন। তাদের অনুসরণ করলে বহু শিখধর্মাবলম্বী পুরুষ এবং মহিলা। তাদের শুয়ে থাকতে দেখে ট্রেন চালক বারবার হুইসেল দিতে লাগলেন। টেনে চাকা চলে গেলে ভাই গরম সিং এবং ভাই প্রতাপ সিং এর উপর দিয়ে এবং আরো অনেকের মারাত্মক আহত হলেন। শেষ পর্যন্ত ট্রেন দাঁড়ালো। বন্দী কয়েদিদের মুখে খাদ্য ও পানীয় তুলে দেওয়া হল। বহু মানুষ মারা গেলেন।

ট্রেন চালককে ট্রেন থামানোর বিষয়ে জবাবদিহি তাহলে তিনি বলেন লাইনে শুয়ে থাকা শিখদের আঘাত করা মাত্র তার হাত থেকে ট্রেনের হাতল পড়ে যায় এবং ট্রেন আপনা থেকেই থেমে যায়, যা গুরু নানকের হাত দিয়ে পাথর থামানোর চেয়ে কম অলৌকিক নয়।

দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা সমস্ত অধ্যায় অনুযায়ী তার সব প্রশ্নের উত্তর

Leave a Comment