ভূমিকা
সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজের ‘ভারতবর্ষ’ গল্পে দেখি গ্রামীণ মানুষগুলো পৌষালী শীতে যখন আবহাওয়া ফাঁপিতে রূপ নিয়েছে, তখন তার চা দোকানে আসে একটু উত্তাপের খোঁজে। ঠিক সেই সময়ই সেখানে এসে হাজির হয় এক থুথুরে বুড়ি এবং আশ্রয় নেয় বটগাছের খোদলে। এবং গ্রামবাসীরা ধরে নেয় বটতলায় খোলা পরিবেশে থাকতে থাকতে সে মারা গেছে।
বুড়ির পড়ে থাকা দেহ নিয়ে গ্রামীণ মানুষের চিন্তা
পৌষের ‘ফাঁপি’ দিন ৫১ এর পরে কেটে গেল সবাই আবিষ্কার করল-‘বটতলার সেই গুঁড়ির খোঁদলে পিঠ রেখে মুড়ি চিৎ হয়ে পড়ে আছে-নিঃসাড়।’বুড়ি মরে গেছে ভেবেও নিশ্চিত হতে না পেরে সকলে অনেক বেলা পর্যন্ত অপেক্ষা করে থাকলো। বুড়ির পড়ে থাকা ভঙ্গি ছিল অনড়। শেষ পর্যন্ত চাওয়ালা যোগা, বুড়ির মৃত্যু সংবাদ ঘোষণা করল- ‘নির্ঘাত মরে গেছে বুড়িটা। বুড়ির মৃত্যুর জন্য কোন প্রকার হা হুতাশ না করে, একজন অগ্র বক্তা বুড়ির মরদেহ বটতলায় পড়ে থাকলে শেয়াল কুকুরের ছুঁড়ে খাবে বা দুর্গন্ধে ট্যাকা যাবে না ভেবে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পরল।
বুড়িকে মৃত ভেবে শেষকৃত্য করার সিদ্ধান্ত
একজন আবার কপাল ছুঁয়ে দেখল, বুড়ির দেহ প্রচন্ড ঠান্ডা। এক অনুসন্ধিৎসু এগিয়ে এসে নাড়িয়ে দেখল-স্পন্দনহীন। সর্বশেষ সিদ্ধান্ত হল, বুড়ি মৃতই। সরকারি সেবক চৌকিদার থানা পুলিশের ঝকমারি না করতে বলে জানাল -“শনিতে ফেলে দিয়ে এসো ! ঠিক গতি হয়ে যাবে-যা হবার !” সমবেত লোকেরা তাই করল।
দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা সমস্ত অধ্যায় অনুযায়ী তার সব প্রশ্নের উত্তর