বক্তা-শ্রোতা
আলোচ্য উদ্ধৃতিটি নাট্যকার অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘নানা রঙের দিন’ একাঙ্ক নাটকের প্রধান চরিত্র অভিনেতা রজনীকান্ত চট্টোপাধ্যায় প্রমোটার কালিনাদ সেন কে বলেছেন।
প্রসঙ্গ
ষাটোর্ধ্ব অভিনেতা রজনী চাটুজ্জে ঘটনার রাতে প্রত্যাহিক অভ্যেসবসে নেশা করে গ্রীন রুমে ঘুমিয়ে পড়েন। মাঝরাতে সংবিৎ ফিরলে তিনি দেখেন, তাকে একা ফেলে সবাই চলে গিয়েছে। নিজের আচরণে ক্ষুব্ধ হয়ে ঘটনাচক্রের তিনি অতীতের ফেলে আসা দিনের কথা ভাবতে বসেন। এরই মধ্যে নিজের সঙ্গে চলতে থাকে তার আত্মবিশ্লেষণ। অনুশোচনায় হতাশায় এবং একাকিত্বের তাড়নায় কত রজনীকান্ত বারবার নিজেকে ধিক্কার দিতে থাকেন। এমন সময় প্রোমোটার কালিনাথ সেনকে সেখানে দেখে তিনি সেদিন অভিনয়ের দর্শকের প্রতিক্রিয়া বলতে বলতে জীবনে নিঃসঙ্গ তাকে প্রকাশ করেন। কথাপ্রসঙ্গে একাকী রজনীকান্ত নিজেকে তুলনা করেন শূন্য প্রান্তের বয়ে চলা বাতাসের সঙ্গে।
পরিপ্রেক্ষিত
একসময় জনপ্রিয় অভিনেতা 68 বছরের রজনীকান্ত আজ জীবন নাট্যের শেষার্ধে উপস্থিত। বহিরঙ্গের বাধ্যক্যকে তিনি যৌবনের কৃত্রিম প্রলেপ দিয়ে ঢেকে রাখলেও, অতীতের উদ্মাদনা, স্পৃহা এখন অনেক কম। বরং দীর্ঘদিনের অভ্যেস, অনুরাগ ও প্রতিভার বলে তিনি প্রধান চরিত্র না হলেও পার্শ্ব চরিত্রে স্বমহিমায় অভিনয় করেন। নিজের অভিনয়ের প্রতি তার দৃঢ় আত্মবিশ্বাস রয়েছে, তাই কালিনাথ সেনকে সেদিনের ‘পাবলিকের উচ্ছাস জানিয়ে তিনি বলেছেন- “তাহলেই বুঝলে কালিনাথ, পাবলিক এখনো কিরকম ভালোবাসে আমাকে?”
দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা সমস্ত অধ্যায় অনুযায়ী তার সব প্রশ্নের উত্তর