অবদান
প্রাচীনকাল থেকে দেহচর্চা বাঙালির অন্যতম প্রিয় খেলা। ১৮৬৮ খ্রিস্টাব্দে হিন্দু মেলায় দ্বিতীয় অধিবেশন লাঠি খেলা ও ব্যায়াম কৌশল প্রদর্শিত হয়। হিন্দু মেলায় বাঙালি ও পাঞ্জাবি ছাত্রদের কুস্তি প্রতিযোগিতাও হত। বিশ শতকে বিশ ও ত্রিশ দশকের ভারতীয় কুস্তি কে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরেন যতীন্দ্রনাথ গুহ। তিনি 1921 খ্রিস্টাব্দে প্রথম এশীয় রূপে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ব লাইট হেভিওয়েট চ্যাম্পিয়নশিপ জিতেন। প্রথমে এশিয়া হিসেবে তিনি বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হন। ভারতীয় খুঁজতে যে তিনি বহু নতুন প্যাচের উদ্ভাবন করেন। যতীন্দ্রনাথের কাকা অম্বিকা চরণ গুহ প্রথম ভারতীয় দেহসৌষ্ঠব শিল্পী ও কুস্তিগিরি বলে খ্যাতি পান। ভারত বিখ্যাত কুস্তিগীরীদের হারিয়ে আখড়া থেকে কেবল যতীন্দ্রচরণই নয়, উঠে আসেন ফণীন্দ্রনাথ গুপ্তের মতো প্রখ্যাত কুস্তিগিরিও।
ব্যায়াম শিক্ষার মাধ্যমে ফনীন্দ্রনাথ রোগ মুক্তি ঘটাতেন। দেহ চর্চা বাঙালির খুবই প্রিয় ছিল, আজও আছে। বিবেকানন্দ, রাষ্ট্রগুরু সুরেন্দ্রনাথের সহোদর জিতেন্দ্র নাথ প্রমুখরা কুস্তি ও দেহ চর্চা কে ভারতীয় ভাবের অঙ্গ করে তোলেন। অম্বিকা-যতীন্দ্র-ফণীন্দ্রের ধারার স্বার্থ গুপ্তশ্বরী হলেন নারায়ণচন্দ্র দাস-মনোতোষ রায়-মনোহর আইচ প্রমখুরা। মনোতোষ রায় প্রথম এশীয় ‘মিস্টার ইউনিভার্স’ , নারায়ন দাস ‘আয়রন ম্যান’, মনোহর আইচ শতায়ু হয়েও যুবকবৎ কর্মক্ষম। বাঙালির দেহচর্চা ও দেহসৌষ্ঠব আরো অজস্র নাম পাওয়া যায় যেমন- গোপাল মুখোপাধ্যায় বিষ্ণু ঘোষ, বিক্রম চৌধুরী প্রমুখ। মনোতোষ রায়ের সন্তান মলয় রায় মিস্টার এশিয়া, টানা আট বার ‘ভারতশ্রী’ সম্মান পান। তিনি সত্যজিৎ রায়ের জয় বাবা ফেলুনাথ ছবিতে অভিনয় করেন।
দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা সমস্ত অধ্যায় অনুযায়ী তার সব প্রশ্নের উত্তর