অভিনব নাট্যভঙ্গি
মারাঠি তামাশায় নাট্য পরিবেশনার অভিনব ভঙ্গির প্রয়োগ-কুশলতা দেখেন নাট্যকার উল্লাসিত হয়েছিলেন। জমিদারের ভূমিকায় কৃষকের আবেদন কর্ণপাত না করে সেই অভিনেতাই দর্শকদের সামনে দাড়ি-গোঁফ লাগিয়ে আবার পুরোহিত সেজে উপস্থিত হয়। অন্যদিকে জমিদারের দরজা থেকে ফিরে হতাশাগ্রস্ত কৃষকটি একটি কাঠের তক্তার উপর বার কয়েক ঘুরে নেয়। তার ভঙ্গি কি এমন যেন সে গ্রাম অতিক্রম করে অনেক দূরে চলে এলো। ওড়িশার যাত্রাতেও তিনি এক দূতের দু পায়ের ফাঁকে লাঠি রেখে ঘোড়া চালানোর ভঙ্গীটি প্রত্যক্ষ করেছিলেন। আমার নাটকের মধ্যে এমন অভিনব প্রয়োগনেপুণ্য মিত্র কে মুগ্ধ করেছিল। তিনি এই ভেবে উল্লাসিত হয়েছিলেন যে, তিনি তার অভিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছে গেছেন। এভাবেই ভাল মঞ্চ ও মঞ্চ সোজা ব্যতিরে খেদর্শকের কাছে প্রযোজনার ব্যবহার কমিয়ে নাটক পরিবেশন করা সম্ভব হবে।
ক্ষণস্থায়ী উল্লাসের কারণ
মারাঠি তামাশা এবং ওড়িশা যাত্রার দর্শক গ্রামের সাধারণ মানুষ। লোকনাথের এই ভঙ্গি বা আঙ্গিক তাদের কাছে গ্রহণযোগ্য। কিন্তু কলকাতার ইংরেজি শিক্ষিত নাগরিক সমাজের নাগ উঁচু সংস্কৃতি মান মানুষের কাছে এই নাট্য রীতি কতটা গ্রহণযোগ্য হবে-এ সংশয়ের কারণেই নাট্যকারের উল্লাস দীর্ঘস্থায়ী হলো না।
দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা সমস্ত অধ্যায় অনুযায়ী তার সব প্রশ্নের উত্তর