ভাষা চর্চায় আধুনিক দৃষ্টিভঙ্গি যথার্থ সূত্রপাত ঘটে তুলনামূলক ভাষা বিজ্ঞান চর্চার মধ্যে দিয়ে, আপনার ভাষা চর্চা আধুনিকতম দৃষ্টিভঙ্গি হলো তুলনামূলক ভাষাবিজ্ঞান।
ঐতিহাসিক ভাষাবিজ্ঞান
ভাষার উৎস-বিকাশ-বিবর্তন কে বিজ্ঞানভিত্তিক দৃষ্টিভঙ্গিতে আলোচনা ও বিশ্লেষণ করা হয় যে শাখায়, তাকে ঐতিহাসিক ভাষাবিজ্ঞান বলে। কোন ভাষার উৎস ও বিবর্তনকে নানা বিজ্ঞানভিত্তিক বিশ্লেষণ ও আলোচনার মাধ্যমে নিগূঢ় চর্চা করা হয়ে থাকে এই ধারায়। অর্থাৎ এখানে ভাষার কালে কালে রূপান্তরে বৈশিষ্ট্য গুলি বিজনেস প্রাধান্য পায় বলে ভাষাবিজ্ঞানের এই শাখার অপর নাম কালানুক্রমিক ভাষাবিজ্ঞান।
মিল
উনিশ শতকের ঐতিহাসিক ও তুলনামূলক ভাষাবিজ্ঞান অবিচ্ছেদ্য সম্পর্কে জড়িত ছিল। বিভিন্ন ভাষার মধ্যে তুলনা করার বিজ্ঞান তখন কমপ্যারেটিভ ফিলোলজি নামে পরিচিত ছিল। ২০ শতকের সূচনা থেকে এদের পার্থক্য স্পষ্ট হতে থাকে।
অমিল
তুলনামূলক ভাষাবিজ্ঞান বিভিন্ন ভাষার মধ্যে তুলনা করে, বিভিন্ন মিল খুজে বের করে, ভাষার ধারাবাহিক রূপান্তর নিয়ে ও আলোচনা করে, কাল গত রূপান্তর ও তার কারণ বিধিবদ্ধ করে। ঐতিহাসিক ভাষাবিজ্ঞান ভাষার ঐতিহাসিক ও কালানুক্রমিক বিকাশ বা পরিবর্তনের সূত্র উদঘাটন করে। এইজন্য ভাষাবিজ্ঞানী সোস্যুর এর নাম দেন কালানুক্রমিক ভাষাবিজ্ঞান। বিশেষ কালে বিশেষ ভাষার বিশেষ অবস্থার বর্ণনা বদলে ঐতিহাসিক ভাষাবিজ্ঞান বিভিন্ন কালে ভাষার পরিবর্তন বর্ণনা করে।
তুলনামূলক ভাষাবিজ্ঞান ভাষা গুলোকে বিভিন্ন ভাষা বংশের বিন্যাস্ত করে ওই ভাষাগুলো পিতৃ বংশের সন্ধান করে। ঐতিহাসিক ভাষাবিজ্ঞানের মূল কথা ভাষা কালানুক্রমিক পরিবর্তিত হয়। ওই পরিবর্তন ঘটে শৃঙ্খলা মেনে। ওয়েস্ট শৃঙ্খলা উদঘাটন করার ঐতিহাসিক ভাষাবিজ্ঞানের কাজ। সে কাজ এককাল থেকে অন্য কালে ভাষার সেসব পরিবর্তন ঘটে, তাই উপাত্ত রূপে ব্যবহার করে এই ভাষাবিজ্ঞান।
দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা সমস্ত অধ্যায় অনুযায়ী তার সব প্রশ্নের উত্তর