সূর্যের প্রখর তাপে বিভিন্ন জলাশয় যেমন – পুকুর, নদী-নালা, সমুদ্র, সাগর ইত্যাদি জল বাষ্পীভূত হয়ে আকাশে উঠে যায়, এবং মেঘ রূপে আকাশে ভেসে থাকে। এবং ভেসে থাকা মেঘের টুকরো গুলি একত্রিত হয়ে ঘনীভূত হওয়ায় অনেক ভারী হয়ে যায়। আকাশে আর ভেসে থাকতে পারে না, ফলে মেঘ বৃষ্টি বা তুষার রূপে পৃথিবীতে ঝরে পড়ে। আবার সেই বৃষ্টির জলই বিভিন্ন জলাশয় যেমন – পুকুর, নদী-নালা, সমুদ্র, সাগর এসে পরে। এবং পুনরায় আবার জল বাষ্পীভূত হয়ে আকাশে উঠে যায়। এইভাবেই একটি নির্দিষ্ট প্রক্রিয়ায় পৃথিবীর জলরাশি বারিমন্ডল থেকে বায়ুমণ্ডল এবং বায়ুমণ্ডল থেকে পুনরায় শিলামন্ডল ও বারিমন্ডলে চক্রাকারে আবির্ভূত হতে থাকে। এই পদ্ধতিতে জলচক্র বলা হয়।