“ছোট গল্প হিসেবে ‘ভারতবর্ষ’ গল্পটির কতটা সার্থক হয়ে উঠেছে, তা আলোচনা কর?

ভূমিকা

ছোট গল্প অর্থে ছোট আকারের গল্প নয়। এডগার অ্যালান পো (Edgar Allan Por) ছোট গল্পের আকার আয়তন সম্পর্কে বলেছিলেন ,’ a brief prose narrative requiring from half an hour to one or hours in its persual.’ ছোট গল্প তে যে বৈশিষ্ট্যটি প্রখর উজ্জ্বলতা লাভ করেছে সেটি হল-এর মধ্যে আহত জীবনের খন্ডাংসকে তুলে ধরে একটা বৃহত্তম জীবনের পরিচয় দান করা, অর্থাৎ কোন বিচ্ছিন্ন একক ঘটনার মধ্যে দিয়ে একটা সমগ্র জীবনের প্রতীতি দান করা

ছোট গল্পের বৈশিষ্ট্য

রবীন্দ্র নির্দেশিত ছোটগল্পের বৈশিষ্ট্য সমূহ ছিল- এতে আদি-মধ্য-অন্তবিশিষ্ট একটি একমুখীন কাহিনী থাকবে, যা ক্রমে সমাপ্তির দিকে এগিয়ে যাবে। এখানে ঘটনার ঘনঘটা, চরিত্রের অজস্রতা, বর্ণনার বাড়াবাড়ি থাকবে না, থাকবে আরম্ভের তির্যকতা ও সমাপ্তির চমৎকারিত্ব। গল্পের সমাপ্তি হবে ব্যঞ্জনাময়, যাতে মনে হবে শেষ হয়েও বুঝি শেষ হলো না।’ভারতবর্ষ’ গল্পে দেখা যায়-বাজার কে কেন্দ্র করে একটি গ্রামের অবস্থান। প্রবল প্রাকৃতিক দুর্যোগে মানুষজন যখন এই চা দোকানে আড্ডারত, তখন এক থুথুড়ে বুড়ি সেখানে চা খেতে আসে এবং বট তোলার আশ্রয় নেয়। পৌষ মাসের অকাল দুর্যোগে বটতলায় পড়ে থাকার কারণে তার মৃত্যু হয়েছে বলে ধরে নিয়ে পরবর্তী সময়ে হিন্দু-মুসলমানের প্রবাল দ্বন্দ্ব ঘনিয়ে ওঠে, বুড়ির মৃত দেহকে কেন্দ্র করে। বুড়ি কিন্তু মৃত নয়, সে এই প্রবল দ্বন্দ্বের মধ্যে উঠে বসে এবং সকলকে উপেক্ষা করে দূরে মিলিয়ে যায়।

উপসংহার

লেখন এখানে দারুন দক্ষতায় গল্পের আদিতে রাঢ়বঙ্গের শীতকালীন দুর্যোগের বর্ণনা দেখিয়েছেন। মধ্যভাগে রেখেছেন বুড়িকে নিয়ে ঘনিয়ে ওঠা ঘটনার জের এবং অন্তে ধর্মীয় সংঘাতের চূড়ান্ত রূপ প্রদর্শনের পরে এসেছে ব্যঞ্জনাময় পরিসমাপ্তি। চরিত্র বাহুল্য ও ঘটনায় শাখাপ্রশাখা এখানে নেই। ঘটনা বলতে কেবল বুড়িকে নিয়ে তৈরি হওয়ার পরিস্থিতি। গল্পের একেবারে শেষে বৃদ্ধার হঠাৎ জেগে ওঠার মধ্যে দিয়ে লেখক পাঠকের চমকিত করেছেন। অন্যদিকে সংক্ষিপ্ত পরিসরে বৃহত্তম এক আবেদন কে লেখক ও গল্পে প্রতিষ্ঠা দিতে সক্ষম হয়েছেন। অতএব গল্পটি নিঃসন্দেহে সার্থক একটি ছোটগল্প।

দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা সমস্ত অধ্যায় অনুযায়ী তার সব প্রশ্নের উত্তর

দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা সমস্ত অধ্যায় অনুযায়ী তার সব প্রশ্নের উত্তর

ছোটগল্প হিসেবে ‘ভাত’ কতদূর সার্থক হয়েছে তার বিচার করো?

‘ভাত’ গল্পে লেখিকার ভাষায় নৈপুণ্যের পরিচয় দাও ?

‘ভাত’ গল্প অবলম্বনে উচ্ছব নাইয়া চরিত্রটি বিশ্লেষণ করো?

‘ভাত’ গল্প অবলম্বনে বুড়ো কর্তার চরিত্র বিশ্লেষণ করো

‘ভাত’গল্পে বাসিনী চরিত্রটি আলোচনা করো?

‘ভাত’ গল্প অবলম্বনে বড় বাড়ির আড়ম্বর আভিজাত্যের পরিচয় দাও।

‘ভাত’ গল্পের মধ্যে এক দিকে রয়েছে অন্নের প্রাচুর্য এবং অপরদিকে রয়েছে বুভুক্ষু মানুষদের দুমুঠো অন্নের আশায় বাদার অন্বেষণ-মন্তব্যটি যথার্থতা আলোচনা করো ?

‘ভাত’ গল্পে ভাত একটি প্রতীক হিসেবে প্রতিভাত হয়েছে।- আলোচনা করো?

“লোকটার চাহনি বড় বাড়ির বড় বউ এর প্রথম থেকেই ভালো লাগেনি।”-লোকটা কে? তার চাহনির বিশেষত্ব কি ছিল বলে তোমার মনে হয়? তার চাহনি বড় বইয়ের ভালো লাগেনি কেন?

“এ সংসারে সবকিছুই চলে বড় পিসিমার নিয়মে।”-বড়ো পিসিমা কে? গল্পে তার চরিত্রের কি পরিচয় পাওয়া যায়?

“এসব কথা সত্যি না মিথ্যে কে জানে।”-এসব কথা বলতে কোন কথা বোঝানো হয়েছে? কথাগুলি সত্যতা নিয়ে সংশয় দেখা দেওয়ার কারন কি?

“ময়ূর ছাড়া কার্তিক আসবে নাকি?” -যার সম্পর্কে কথা বলা হয়েছে, তার চেহারার বর্ণনা দাও? লোকটি কোথায়, কেন এসেছে লেখো?

“সেই জন্যই হোম যোগী হচ্ছে।”- ‘হোম-যজ্ঞি’ হওয়ার কারণ কি? এই যজ্ঞের আয়োজন এর বর্ণনা দাও?

“বাসিনি এনেছে। বাদায় থাকে, অথচ ভাতের আহিংকে এতখানি।” -বাসিনি কে, ও কাকে এনেছে? তার ভাতের ‘আহিংকে’ এতখানি কেন?

“নামতে পারলে বাছা? চালগুলো তো বের করে দেবে?” – কে, কাকে, কোথা থেকে নামার কথা বলেছেন? ‘চালগুলো’র বিবরণ দাও?

“পিসিমা দেখতে পেলে সর্বনাশ হবে।” -এ কথা কে কাকে বলেছে? পিসিমা দেখতে পেলে ‘সর্বনাশ’ হবে কেন?

“কপালটা মন্দ তার। বড়োই মন্দ।” -যার সম্পর্কে এ কথা বলা হয়েছে তার কপালটা মন্দ কেন?

“উচ্ছব বলে চলছিল ভগমান ! ভগমান ! কিন্তু এমন দুর্যোগে ভগবানও কাঁথা মুড়ি দিয়ে ঘুমোন বোধ করি।”-‘এমন দুর্যোগে’ বলতে যে দুর্যোগের কথা বলা হয়েছে তা বর্ণনা দাও? বক্তার কেন মনে হয়েছে ভগবান এমন দুর্যোগে কাঁথা মুড়ি দিয়ে ঘুমোন?

“যার আর নেই, যা ঝড়-জল-মাতলার গর্ভে গেছে তাই খুঁজে খুঁজে উচ্ছব পাগল হয়েছিল।” -দুর্যোগের বর্ণনা দাও? দুর্যোগটি উচ্ছব কে কিভাবে প্রভাবিত করেছিল?

“উচ্ছবের হঠাৎ মনে হয় কলকাতায় গিয়ে খেয়ে মেখে আসি।”- উচ্ছবের হঠাৎ এরকম মনে হওয়ার কারণ কি ?

“লক্ষ্মী না আসতে সেধে ভাসান যাচ্ছে” -উক্তিটির তাৎপর্য বিশ্লেষণ করো?

“উচ্ছব কৌটোটা চেয়ে এনেছিল।” -কোন কৌটোর কথা বলা হয়েছে? কৌটোটা কেমন ছিল? সেই কৌতুক থাকলে কি হবে?

“ফুটন্ত ভাতের গন্ধ তাকে বড় উতলা করে।” -তাকে বলতে এখানে কাকে ইঙ্গিত করা হয়েছে? এই গন্ধ তাকে কেন উতলা করে?

“গরিবের গতর এরা শস্তা দেকে।” -বক্তা কে? এ বক্তব্যের কারণ কি?

“তুমি কি বুঝবে সতীশবাবু!” -সতীশবাবু কি বুঝবে না? সতীশবাবু উচ্ছবের সঙ্গে কেমন আচরণ করেছিল?

“এ হলো ভগবানের মার। এর চোর থেকে তোকে বাঁচাতে পারি?” -কে, কাকে বলেছিল? পরিপ্রেক্ষিতটি কি তা বুঝিয়ে দাও?

“অন্ন লক্ষী, অন্ন লক্ষী, অন্ন‌ই লক্ষী, ঠাগমা বলত।”-বক্তার এই উপলব্ধির কারণ ব্যাখ্যা করো?

“উচ্ছবের মাথায় এখন বুদ্ধির স্থির, সে জানে সে কি করবে।” – উচ্ছবের করণীয় কাজের মধ্যে দিয়ে যে সমাজ সত্যটি উঠে এসেছে-আলোচনা করো?

“দাঁতগুলো বের করে সে কামটের মতই হিংস্র ভঙ্গি করে।” -কে কার প্রতি এরূপ আচরণ করেছিল? তার এরূপ আচরনের কারণ বিশ্লেষণ কর?

“চন্নুনীর মা কখনো তাকে এমন সুখ দিতে পারেনি।”-চন্নুনীর মা কে? ‘তাকে’ বলতে কাকে বোঝানো হয়েছে? উদ্দিষ্ট ব্যক্তি ‘সুখ’ কিভাবে লাভ করেছিল?

“বাদার ভাত খেলে তবে তো সে আসল বাদাটার খোঁজ পেয়ে যাবে একদিন।” -উদ্ধৃত অংশটির অর্থ পরিস্ফূট করো? অথবা, বাদার ভাত খেলে তবে তো সে আসল বাদাটার খোঁজ পেয়ে যাবে একদিন।”- ‘বাদা’ কাকে বলে? উদ্দিষ্ট ব্যক্তির এরকম মনে হওয়ার কারণ কি?

“আসল বাদার খোঁজ করা হয় না উচ্ছবের”- উচ্ছবের পরিচয় দাও? তার পক্ষে আসল বাদাটার খোঁজ করা হয়ে ওঠেনি কেন?

“আসল বাদাটার খোঁজ করা হয় না উচ্ছবের”- উচ্ছব ‘আসল বাদা’ খুঁজতে যেতে পারে না কেন? আসল বাদা কোথায় কিভাবে থেকে যায়?

বড় বাড়ির যজ্ঞের আয়োজন ও কর্তা মহাশয়ের শবযাত্রার আয়োজন নিজের ভাষায় লেখ?

Leave a Comment