পথ চলা শুরু
বেথলেহেমে সকলের চোখের আড়ালে যীশুর জন্ম লাভের মতোই প্যারিসের বুলভার দে কাপুসিন-এর গ্র্যান্ড কাফের ভূতল কক্ষে জন্ম নেয় চলচ্চিত্র। দিনটি ছিল ১৮৯৫ খ্রিস্টাব্দে ২৮ ডিসেম্বর। তখন চলচ্চিত্রকে বলা হতো বায়োস্কোপ। ‘লা পস্ত’ পত্রিকার প্রতিবেদক প্রথম প্রদর্শনী দেখার প্রতিক্রিয়ার লিখেছিলেন এই উদ্ভাবনার ফলে মৃত্যু আর চরম অন্ত রইল না ! যেসব মানুষকে পর্দায় দেখা গেল তারা মৃত্যুর পরেও আমাদের মধ্যে জীবিত ও সচ্ছল থাকবেন।
চলচ্চিত্রের ইতিহাস
এরপর সেলুলয়েড রোল ফ্লিম তৈরি করলে জর্জ ইস্টম্যান, এডওয়আর্ড মায়ব্রিজ। মার্কিন পরিচালক ডাবলিউ গ্রিফিথ তারপর বহু ব্যয় চলচ্চিত্র নির্মাণ করতে শুরু করলেন। ‘দ্য বার্থ অফ এ নেশন’ ছবিতে ১৯১৫ খ্রিস্টাব্দে তিনি ৯১,০০০ ডলার খরচ করলেন এবং যার মধ্যে ১৩ হাজার ডলার খরচ হলো বিজ্ঞাপন বাবদ। এই ছবি থেকে আয় হয় ৫০ লক্ষ ডলার। গ্রিফিথ পরবর্তী ছবি ‘ইন্টালারেন্স’ এ ক্লোজ আপ, মিডিয়া শট, লং শটের, ট্রলি শট অভিনয়ের এডিটিং এ চলচ্চিত্রকে অভিনব উচ্চতায় নিয়ে যান। সুইডিং এর মহৎ পরিচালক ডিরেক্টর সিয়োস্ট্রম (‘দ্য ফ্যান্টম ক্যাবেজ’) , জার্মানির আর্নস্ট, লু বিটশ (‘ক্যালিগরি’) , ফ্রইৎজ লাঙ্গ (‘ডক্টর মাবুস’) পাউল লেনি, মুরনাউ এবং রুশদেশীয় অবিসংবাদী সের্গেই আইজেনস্টাইন (‘স্টাইক’, ব্যাটেলশিপ পোটেমকিন’) ইত্যাদি পরিচালকের হাত ধরে ছায়াছবি হয়ে উঠল মানুষের নিত্য সঙ্গী।
আর ছায়াছবি কে মানুষ প্রতিদিনের সুখ-দুঃখ, হাসি-কান্না, লড়াই-আনন্দ-বেদনা+অভিমানের সঙ্গী করলেন চার্লি চ্যাপলিন। রাজা হরিশচন্দ্র গিয়ে ভারতীয় চলচ্চিত্রের ইতিহাস বললেন দাদা সাহেব ফলকে। লুই লুমিয়ের ভেবেছিলেন the cinema is i and invitation without a future. কিন্তু আজকে বিশ্বের অন্যতম বিনোদন মাধ্যমে সিনেমা।
দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা সমস্ত অধ্যায় অনুযায়ী তার সব প্রশ্নের উত্তর