প্যারিসের গ্রান্ড কাফেতে ২৮ ডিসেম্বর, ১৮৯৫ খ্রিস্টাব্দে লুমিয়ের ভাইরা-অগাস্ট লুমিয়ের ও লুই লুমিয়ের চলচ্চিত্র প্রদর্শন এর সূত্রপাত ঘটান। যদিও লুই ভেবেছিলেন -the cinema is and invitation without a future. কিন্তু আগামী ২৫ বছরের মধ্যেই সিনেমা সর্বস্তরের মানুষের হৃদয় পৌঁছে গেল।
চলচ্চিত্রের প্রাচীন রূপ
১৬৬০ খ্রিস্টাব্দে ম্যাজিক লন্টন এর প্রদর্শন চলচ্চিত্রের আদল তৈরি করে। ১৬৬১ খ্রিস্টাব্দে ক্রিচার ম্যাজিক লন্ঠনে একটা চাকার উপর যিশুর জীবনচক্র নির্মাণ করে। প্রাচীন মিশরীয় সভ্যতায়ও এমন চিত্রায়ন প্রথা ছিল। পি. এম. বোগট ১৮২৪ খ্রিস্টাব্দে “পারসিসটেন্ট অব ভিশন” জলচ্ছায়া নির্মাণ করে চলচ্চিত্রের সম্ভাবনা উজ্জ্বল করেন। তারপর লুমিয়ের ভাইদের ছবি দেখানোর আগে চলচ্চিত্র সৃজন এ কয়েকটি আবিষ্কার খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়। সেগুলি যথাক্রমে -টেম্পারের স্টোবোসস্কোপ, উইলিয়াম থামসের টেরোথোপি, টমাস আলভা এডসনের কিনেটৈস্কোপ এবং রবার্ট ফাউলের থিয়েট্রোসস্কোপ।
তারপর আসে লুমিয়ের ভাইদের ঐতিহাসিক ক্ষণ। তারা লিভিং দা ফ্যাক্টরি, দ্য অ্যারাইভাল অব এ ট্রেন অ্যআট লা সিয়োটাট স্টেশন, বেবিস ব্রেকফাস্ট ইফতারি ছোট ছোট চলচ্চিত্র প্রদর্শন করে মানুষের হৃদয় জয় করেন। পাশাপাশি জজ সিনেমার সেলিব্রেটির রোল ফিল্ম তৈরি করে ও এডোয়ার্ড মায়ব্রিজ তার জউপ্র্যআস্কইস্কওপ যন্ত্রে একটি ঘোড়ার দৌড়ের ১ লক্ষ এক্সপোজার ১ সেকেন্ডের ১/২০০০ স্পিডে নিয়ে সিনেমা তৈরির পথ প্রস্তুত করেন।
দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা সমস্ত অধ্যায় অনুযায়ী তার সব প্রশ্নের উত্তর