কমিশন উপলব্ধি করেছেন যে সমকালীন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজগুলির দ্বারা সাধারণ মানুষের শিক্ষার্থীরা উপকৃত হয় এবং সমাজের বিশেষ এক শ্রেণীর মানুষের চাহিদা পূরণ করতে পারে।
গ্রাম অঞ্চলের শিক্ষার্থীরা আশানির্ভুল উচ্চশিক্ষা লাভের সুযোগ পায় না। ১৯৪১ খ্রিস্টাব্দে আদমমুসারি অনুসারে গ্রাম প্রধান ভারতের লোক সংখ্যা শতকরা ৮৫ ভাগ।
ভারতের এই বিশাল জনসংখ্যা যদি উচ্চশিক্ষা থেকে বঞ্চিত হয় তবে স্বাধীনতা, গণতন্ত্র ইত্যাদি অর্থহীন হয়ে পড়বে। গ্রাম নির্ভর ভারতের সার্বিক উন্নতি করতে হলে প্রথমে গ্রামগুলিকে বিজ্ঞানসম্মতভাবে পূর্ণ গঠন করতে হবে।
এই জন্য গ্রাম অঞ্চলের উচ্চ শিক্ষার ব্যাপকভাবে প্রয়োজন রয়েছে। গ্রামীন শিক্ষার্থীরা যাতে নিম্ন স্তরের শিক্ষা থেকে বিদ্যালয়ের পর্যন্ত শিক্ষার সুযোগ লাভ করতে পারে তার জন্য কমিশন গ্রামীণ বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের পরিকল্পনা গ্রহণ করার সুপারিস করেন।
আদর্শ
কমিশনের মতে ডেনমার্কের জনতা কলেজের অনুরূপ কলেজ এ দেশের গ্রামীণ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপনের ক্ষেত্রে আদর্শ স্বরূপ গৃহীত হতে পারে।
গ্রামীণ বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্দেশ্য:- গ্রামীন বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তোলা উদ্দেশ্য হল-
১ গ্রামগুলিকে বিজ্ঞানসম্মতভাবে পূর্ণ গঠিত করা
২ গ্রামীণ কৃষি, শিল্প, বাণিজ্য ও পরশু পালনের ইত্যাদি বিষয়ে উন্নয়ন করা।
৩ গ্রামীন দরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থীদের গ্রামীণ উচ্চ শিক্ষার সুযোগ করে দেওয়া।
৪ গ্রামীন শিক্ষা সংস্কৃতির মান উন্নয়ন ঘটানো।
গ্রামীন শিক্ষার পরিকল্পনা
কমিশন, গ্রামীণ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা ক্ষেত্রে একটি পূর্ণাঙ্গ গ্রামীণ শিক্ষা পরিকল্পনা উপস্থাপন করেছেন। এই পরিকল্পনায় শিক্ষায় চারটি স্তরের কথা বলা হয়েছে তা হলো ১ প্রাথমিক শিক্ষা.২ মাধ্যমিক শিক্ষা, ৩ কলেজ ও শিক্ষা ও ৪ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা। সুতরাং এই সমস্ত পয়েন্টগুলি আমরা আলোচনা করলাম।
১ প্রাথমিক শিক্ষা
শিক্ষা সময়কাল আট বছর। অর্থাৎ ৬ থেকে ১৪ বছর বয়স পর্যন্ত। প্রাথমিক স্তরে স্পষ্ট বুনিয়াদি শিক্ষা পরিকল্পনা থাকায়, কমিশন নতুন করে প্রাথমিক শিক্ষা সম্পর্কে আর কোনো আলোচনার প্রয়োজন মনে করেননি। অর্থাৎ, এই স্তরে শিক্ষা সম্পূর্ণভাবে বুনিয়াদি শিক্ষা পরিকল্পনা সংগঠিত হবে।
২ মাধ্যমিক শিক্ষা
মাধ্যমিক শিক্ষার সময় কাল হবে তিন থেকে চার বছর। কমিশন মাধ্যমিক বিদ্যালয় গুলিকে আবশ্যিক করার কথা বলেছেন প্রত্যেকটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৩০ থেকে ৬০ একক জায়গা নিয়ে প্রতিষ্ঠিত হবে।
এর মধ্যে বিদ্যালয়ের গৃহ, শিক্ষকদের আবসন, খেলার মাঠ, কর্মশালা, কৃষি খামার, শিল্প শিক্ষার ঘর, পশু চারণক্ষেত্র, বাগান ইত্যাদির ব্যবস্থা থাকবে।
গ্রামের কেন্দ্রস্থলে অবস্থান করবে যাতে চারিদিক থেকে শিক্ষার্থীরা সহজে শিক্ষা লাভের জন্য আসতে পারে। প্রত্যেকটি বিদ্যালয়ে ১৫০ জনের অধিক শিক্ষার্থী থাকতে হবে।
বিদ্যালয়ে অর্ধেক সময় অর্থাৎ ৫০ ভাগ সময় তাত্ত্বিক বিষয়ের ওপর আলোচনা এবং অর্ধেক সময় হাতে কলমে কাজ করবে। সমগ্র বিদ্যালয় অঞ্চলটি একটি আদর্শ পল্লীর মতো সুপরিচিত করতে হবে।
৩ কলেজে শিক্ষা
মাধ্যমিক শিক্ষার পর শিক্ষার্থীরা সমার্থক স্তরের শিক্ষা লাভ করবে গ্রামীণ কলেজে। কলেজের শিক্ষা কাল হবে তিন বছর। প্রত্যেকটি কলেজের ৩০০ জনের বেশি শিক্ষার্থী থাকবে না। কলেজের তাত্ত্বিক ও ব্যবহারিক উভয় ধরনের শিক্ষা সমান মান্যতা পাবে।
৪ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা হবে দু বছরের। গ্রামীণ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে থাকবে আর একটি গ্রামীন কলেজ। প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সংখ্যা ২৫০০ জনের বেশি হবে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্তরে গ্রামীণ শিল্প, অর্থনীতি, সংস্কৃতি প্রকৃতি বিষয়ক গবেষণার ব্যবস্থা থাকবে।
এবং কমিশন বিশেষভাবে জোর দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার উপরে। তাই কমিশনের মতে কলেজের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা পরিকাঠামো কেমন হবে সেই সমস্ত পয়েন্ট গুলো আলোচনা করলাম।
কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠক্রম
গ্রামীন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় গুলি পরিচালনার জন্য থাকবে পরিচালন সমিতি। এসব প্রতিষ্ঠানকে স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ দিতে হবে।
কমিশন গ্রামীণ বিশ্ববিদ্যালয়ের সুপারিশগুলো পর্যালোচনা করার জন্য ১৯৫৪ সালের অক্টোবর মাসে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করেন।
এই কমিটি গ্রামীণ বিশ্ববিদ্যালয় শুরু করার পরিবর্তে প্রথমে পরীক্ষামূলকভাবে গ্রামীণ সংস্থা স্থাপনের সুপারিশ করেন।
প্রয়োজন হলে এইসব সংস্থাগুলিকে গ্রামীন বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত করা যেতে পারে, এই সুপারিশ মেনে নিয়ে ভারত সরকার ১৪ টি গ্রামীণ সংস্থা স্থাপন করেন।
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার কাঠামো
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার উন্নতি ঘটনার জন্য কমিশন উচ্চশিক্ষার যে সকল কাঠামোর সুপারিশ করেছিলেন তা হল-
প্রথম 12 বছর বিদ্যালয়ের শিক্ষালাবের পর শিক্ষার্থীরা কলেজে কলা বা বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হতে পারবে। তৎকালীন প্রচলিত ২ বছরের ইন্টারমিডিয়েট পরীক্ষায় উৎকীর্ণ হওয়ার মাধ্যমে জ্ঞানের পরিচয় দিতে হবে।
দ্বিতীয় পাস ও অনার্স উভয় বিভাগের শ্রেণীর শিক্ষার্থীর জন্য তিন বছরের কোর্স চালু করতে হবে। অনার্স কোর্সের শিক্ষার্থীরা এক বছর এবং পাস করছে শিক্ষার্থীরা দু’বছর পড়াশোনা পর মাস্টার লাভ করবে।
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার পাঠক্রম
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার পাঠক্রম সম্পর্কে কমিশন বলেছেন – সাধারণ শিক্ষায় তাত্ত্বিক ও ব্যবহারিক উভয়দিকে পঠন-পাঠনের ব্যবস্থা থাকবে এবং সেইভাবে পাঠ্যসূচি তৈরি করতে হবে, যাতে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন বিষয়ে শিক্ষা লাভের সুযোগ পায়। সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
শিক্ষার মাধ্যম
কমিশন মাধ্যমিক শিক্ষা স্তর থেকে বিশ্ববিদ্যালয় স্তর পর্যন্ত শিক্ষাদানের মাধ্যম হিসাবে একটি ত্রিভাষা সূত্রের কথা বলেছেন। ১ আঞ্চলিক ভাষা বা মাতৃভাষা, ২ রাষ্ট্রভাষা ও ৩ ইংরেজি ভাষা কমিশন বলেছেন, আঞ্চলিক ভাষা বা মাতৃভাষা উচ্চশিক্ষার মাধ্যম হওয়া উচিত। তবে কোনো কোনো বিষয়ে ক্ষেত্রে রাষ্ট্রভাষাকে শিক্ষার মাধ্যম হিসাবে গ্রহণ করা যেতে পারে।
শিক্ষক
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার মান নির্ভর করে যোগ্য প্রতিভাবান শিক্ষক এর ওপর। তাই কমিশনের শিক্ষক সম্পর্কে সুপারিশ হল –
যোগ্য শিক্ষক নির্বাচনের ব্যাপারে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে।
মেধার ভিত্তিতে শিক্ষক এর পদোন্নতি করতে হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকদের বেতনহার ভালো করতে হবে
ধর্মীয় শিক্ষা
ভারত ধর্মনিরপেক্ষ একটি গণতান্ত্রিক দেশ। তাই ধর্মনিরপেক্ষতাকে অক্ষুন্ন রেখে ধর্মীয় শিক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে। এক্ষেত্রে কমিশনের সুপারিশ হল
কয়েক মিনিট নীরব প্রার্থনার মধ্যে দিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কাজ আরম্ভ করতে হবে।
ডিগ্রি কোষের প্রথম বছর মহাপুরুষের জীবনী পাঠ।
দ্বিতীয় বছরে প্রত্যেক ধর্মগ্রন্থ থেকে বিশ্বজনীন আবেদন গুলির সংকলন পাঠ।
তৃতীয় বছরের ধর্মীয় দর্শনের মূল সমস্যা গুলি নিয়ে আলোচনা করার সুপারিশ করেন।
পরীক্ষা সংস্কার
পরীক্ষা ব্যবস্থা সংস্কারের জন্য কমিশনের সুপারিশ গুলি হল-
পরীক্ষার রচনাধর্মী না হয়ে যতটা সম্ভব নেতিবাচক হবে।
সমগ্র শিক্ষাবর্ষ ধরে শিক্ষার্থীদের পারদর্শিতার মূল্যায়ন করতে হবে।
স্নাতক স্তরে তিন বছরের শেষে একটি পরীক্ষার পরিবর্তে তিন বছরের তিনটি পরীক্ষা করতে হবে।
নারীশিক্ষা
নারী শিক্ষা সম্পর্কে কমিশনের বক্তব্য মেয়েরা শিক্ষা ক্ষেত্রে সমসুযোগ লাভ করবে। মহিলার নাগরিক হিসেবে মেয়েদের পৃথক দায়িত্ব ও কর্তব্য আছে।
এর জন্য তাদের বিশেষ ধরনের শিক্ষা ব্যবস্থা প্রয়োজন। মেয়েরা যাতে গাহস্থ্য বিজ্ঞান, গার্হস্থ অর্থনীতি, গৃহ পরিচালনার ইত্যাদি বিষয়ে উচ্চশিক্ষা লাভ করতে পারে সেদিকে কিন্তু নজর দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
শিক্ষার্থী কল্যাণ
কমিশন ছাত্র কল্যাণের উপর গুরুত্ব দিয়েছে। দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের স্কলারশিপ দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। শিক্ষার্থীদের জন্য বিভিন্ন কল্যাণমূলক কর্মসূচি রচনা করা। এছাড়া শারীরশিক্ষা প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষা পাঠ্যসূচি প্রবর্তন করতে হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালন ব্যবস্থা
কমিশন বিশ্ববিদ্যালয়গুলির পরিচালন কাঠামো কেমন হবে সে বিষয়ে কিছু সুপারিশ করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালনার কাঠামো থাকবে –
পরিদর্শক, উপাচার্য, সেনেট, সিন্ডিকেট, একাডেমিক কাউন্সিল, ফ্যাকাল্টিজ, বোর্ড অফ স্টাডিজ, অর্থ কমিটি, নির্বাচন কমিটি, আচার্য।
অর্থসংস্থান
কমিশন সুপারিশ করেছেন উচ্চশিক্ষায় ব্যয় নির্বাহের দায়িত্ব রাষ্ট্রকে গ্রহণ করতে হবে। অবিলম্বে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন গঠন করে, এই সংস্থার মাধ্যমে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে অর্থ সাহায্যের ব্যবস্থা করতে হবে।
মূল্যায়ন
বিশ্ববিদ্যালয় কমিশনের সুপারিটি গুলি ভারতের শিক্ষার ইতিহাসের বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। কমিশনের তাৎপর্যের দিকগুলি হল।
(১) স্বাধীনতার পর বিশ্ববিদ্যালয় কমিশনের উচ্চ শিক্ষা সম্পর্কে সুপারিশ গুলি নিঃসন্দেহে মৌলিকও বিব্রতাবাদী।
(২) কমিশন গ্রামীন উন্নয়নের জন্য কৃষি শিল্পীর উপর সর্বাধিক গুরুত্ব আরোপ করেছেন।
(৩) উচ্চশিক্ষায় উদ্দেশ্যে সম্পর্কে কমিশনের সুপারিশ প্রগতিশীল এবং সার্বিক উন্নতিতে বিকাশ ঘটায়।
(৪) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ও শিক্ষা নিয়ন্ত্রণ সম্পর্কে সুপারিশ গুরুত্বপূর্ণ।
(৫) কমিশন বৈজ্ঞানিক, কারিগরি ও বৃত্তিশিক্ষার উপর যেমন গুরুত্ব অলোপ করেছেন, অন্যদিকে তেমনি সাহিত্যিমূলক চারুকলা মূলক দার্শনিক শিক্ষায় জোর দিয়েছেন।
সীমাবদ্ধতা
বিশ্ববিদ্যালয়ের কমিশনের নীতিবাচক দিকগুলি থাকলেও কয়েকটি ক্ষেত্রে কিন্তু সীমাবদ্ধতাও কিন্তু লক্ষ্য করা যায়। তা হল –
(১) কমিশনের ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা সম্পর্কে সুপারিশ অপুষ্ট ও বিমুর্ত।
(২) কমিশন উচ্চশিক্ষার ভাষা মাধ্যম সম্পর্কে কোনো সুনির্দিষ্ট নির্দেশ না থাকা সমস্যা আজও রয়ে গেছে।
(৩) গ্রামীন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থান নির্বাচনের ক্ষেত্রে গ্রামের পরিবর্তে শহর ভিত্তিক অঞ্চলের ওপর পরবর্তীকালে গুরুত্ব অলক্ষ করা হয়েছে।
(৪) শিল্পচর্চা ও নারী শিক্ষা প্রকৃতি বিষয়ে কমিশনের সুপারিশ বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ নয়।
(৫) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন সম্পর্কে সুপারিশটি অসম্পূর্ণ ও অসঞ্জস্যপূর্ণ।
সুতরাং স্বাধীনতার পর শিক্ষা সম্পর্কে আলোচনার শুরুতেই উচ্চশিক্ষার উপর গুরুত্ব অলোপ করা হয়েছে তার কোন সন্দেহ নেই। প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষার উন্নয়নের সম্পর্কে কোন কমিশন বসানো হয়নি। তবে একথা সত্য যে, স্বাধীনতার পর ভারতীয় শিক্ষাকে রাধাকৃষ্ণাণ কমিশন উন্নত দেশগুলির শিক্ষা মানের সমপর্যতাভুক্ত করেছেন। শিক্ষায় কমিশনের সুপারিশ গুলি বাস্তব রূপ পেলে ভারতীয় শিক্ষায় ইতিহাস নব্যযুগ রূপলাভ করবে। এর ফলে ডাঃ সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণাণ এর নবভারত গড়ার স্বপ্ন সার্থক হতো।