গীতিকবিতা ‘কবির জীবনের শেষ পর্বে ভাবসংহত মন্ত্রের মতো হয়ে উঠেছে।’ – কবিতা অবলম্বনে আলোচনা করো?

গীতিকবিতায় স্বরূপ

‘গীতিকবিতা’কে ব্যাখ্যা করা হয় ‘Spontaneous overflow of emotions’ হিসেবে, অর্থাৎ স্বতঃস্ফূর্ত অনুভবের সংত দৃঢ় রূপ। যা পাওয়া যায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘শেষ লেখা’ কাব্যের অন্তর্গত ‘রূপনারানের কূলে’ কবিতায়।

কাঙ্ক্ষিত জীবন সত্যের সন্ধান

আলোচ্য কবিতার ছোট পরিসরে কবি এক গভীর আত্ম ভাবনার ছবি এঁকেছেন সচেতনভাবে ও সযত্নে। জীবন-মৃত্যুর স্বরূপ অন্বেষণের চূড়ান্ত সীমায় পৌঁছেছেন কবি। অনআড়ম্বর ভাষায় ব্যক্ত করেছে নিজের অনুভব-

“রক্তে অক্ষরে দেখিলাম আপনার রূপ, চিনিলাম আপনারে আঘাতে আঘাতে বেদনায় বেদনায়; সত্য যে কঠিন,

বিষয়ের গাম্ভীর্য ও গভীরতার প্রতি মমত্ব দেখিয়ে কবির হৃদয়মথিত বাণী গুলি উচ্চারিত হয়েছে, কবি হয়ে উঠেছে বহু যুগের জ্ঞানতাপস। সহজ ছিল না সে উত্তর। কাঠিন্যের ভরা জীবন কাটে মৃত্যুর সমীপে এসে কবি খুঁজে পেয়েছেন কাঙ্ক্ষিত জীবন সত্যকে। আর এই জীবনকেই আহুতি দিতে চেয়েছেন তিনি মরনের আগুনে।

মানবতার শাশ্বত মন্ত্র

নিরভরণ নির্মল জীবনে এই সর ঋষিকবির কণ্ঠে মন্ত্রসম বিশুদ্ধতা নিয়ে মুক্তি পেয়েছে। গীতিকবির দায়বদ্ধতা এখানে গুরুত্ব পাইনি; বরং সুদীর্ঘ জীবনে অভিজ্ঞতা সিঞ্চন করে প্রাপ্ত অনুভব যেন স্তোত্র হয়ে উঠেছে, হয়ে উঠেছে মানবতার শ্বাশ্বত মন্ত্র।

দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা সমস্ত অধ্যায় অনুযায়ী তার সব প্রশ্নের উত্তর

Leave a Comment