লেখকের উপস্থাপন রীতি
লেখক সুভাষ মুখোপাধ্যায় ‘গারো পাহাড়ের নিচে’ রচনায় গারো-হাজং প্রভৃতি উপজাতি জীবনের আহার-আশ্রয়-জীবিকা-শখ-সৌখিনতার কাহিনী কে ব্যক্ত করেছেন হৃদয়বত্তা নিয়ে। গারো পাহাড়ের বিভিন্ন জাতি গোষ্ঠীর মানুষের প্রতি তার যেন গভীর ভালোবাসা রয়েছে, তেমনি রয়েছে সহানুভূতিশীল অন্তঃকরণের স্পর্শ। একজন প্রদর্শন হয়ে তিনি যেন পাঠকদের কিছু দেখাচ্ছে, শোনাচ্ছেন আরো অন্তরে আগ্রহ সঞ্চারণ করেছে। প্রবন্ধের শুরুতে তিনি বলেছেন-“চৈত্র মাসে যদি কখনও মৈমনসিং যাও, রাত্রিরে উত্তর শিয়রে তাকাবে। দেখবে যেন একরাশ ধোয়াটে মেঘে কারা আগুন লাগিয়ে দিয়েছে।”
ভাষা দক্ষতা
সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের আলোচ্য প্রবন্ধে ভাষার দিকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন। ছোটদের পত্রিকায় প্রকাশিত হওয়ার কারণে ছোটদের উপযোগী সহজ সরল ভাষা বৈশিষ্ট্যের প্রবন্ধটির রচিত হয়েছে। ছোট ছোট বাকে বিনাশ ঘটনা বৈচিত্র্য তুলে ধরেছেন লেখক। গারো পাহাড়, জনজাতি তাদের বিদ্রোহ এবং বর্তমানে সঙ্গে পার্থক্য এই প্রবন্ধের মূলভাব। সুনিপুণ ভাষায় বাঁধুনিতে একইভাবে দৃঢ় উপস্থিতি পরিলক্ষিত হয়েছে।
উপসংহার
ভাষায় মান্যরূপ, বিভাষা এবং উপভাষিক বৈচিত্রের উল্লেখ মধ্য দিয়ে পাহাড়ি মানুষদের প্রতি লেখক ঐকান্তিক ভালোবাসা এভাবেই আলোচ্য প্রবন্ধে উঠে এসেছে। লেখকের ভাষা দক্ষতা ও উপস্থাপনার রীতি, আলোচ্য গ্রন্থে যথেষ্ট সমাদর লাভ করেছে।
দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা সমস্ত অধ্যায় অনুযায়ী তার সব প্রশ্নের উত্তর