ভূমিকা
‘গারো পাহাড়ের নিচে’ প্রবন্ধে লেখক সুভাষ মুখোপাধ্যায় পাহাড়ি অঞ্চলের মানুষের চাষবাসের কথা বলেছেন। গারো পাহাড়ের উপরে এবং নিচের সুসং পরগনায় বসবাসকারীদের চাষবাস পদ্ধতির মধ্যে পার্থক্য দেখা যায়।
‘পাহাড়ে যারা থাকে’ তাদের চাষবাস
মৈমনসিংহের গারো পাহাড়ে চৈত্র মাসের চাষবাস শুরু হয়। পাহাড়ের উপরে বসবাসকারীদের হাল-বদল নেই, পাহাড়ের রুক্ষ পাথরে জমি চাষের পক্ষে উপযোগী। তাইরা শুকনো ঝোপে আগুন জ্বালিয়ে দেয়। গোটা বন পুরে ছাই হলে পাহাড়ের উপর পুরো ছাড়িয়ে স্তর পড়ে যায়। এরপর বীজ ছড়িয়ে এরা ধান, তামাক প্রভৃতি ফসল ফলায়। এইভাবে ঝুম চাষ পদ্ধতিতে চাষ করে বাসিন্দারা খাদ্যের যোগান দেয়।
‘পাহাড়ে নিচে যারা থাকে’ তাদের চাষবাস
অন্যদিকে গারো পাহাড়ে নিচে সুসং পরগনায় বসবাসকারী গারো-হাজংরা হাল-বদল নিয়ে চাষ করে। নারী পুরুষ উভয়েই চাষের কাজ করে। ছোট ছেলেরা পিঠে আঁটি বাধা ধান খামারে নিয়ে আসে। অন্যান্য প্রজাতির মধ্যে চাষের কাজ হাজংরা সর্বশ্রেষ্ঠ।
দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা সমস্ত অধ্যায় অনুযায়ী তার সব প্রশ্নের উত্তর