ভূমিকা
সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের ‘গারো পাহাড়ের নিচে’ রচনাটিতে সরলরৈখিক ভাবে প্রকৃতির সৌন্দর্য ও প্রকৃতির ভয়ংকর চিত্রের রূপায়ণ ঘটেছে। শুরুতে লেখক চৈত্র মাসের গারো পাহাড়ের বর্ণনা প্রসঙ্গে বলেছেন-“দেখবেন যে একরাশ ধোঁয়াটে মেঘে কারা আগুন লাগিয়ে দিয়েছে।
আগুনের চিত্র
অত্যন্ত রুক্ষ ও কঠিন অনাবাদি জমিতে ফসল ফলানোর পূর্ব প্রস্তুতির যে বর্ণনা দিয়েছেন লেখক তাও অন্যান্য সাধারন। শুকনো গাছপালা আগুন লাগিয়ে দেয় তারা। লেখক বলেছেন-“সে কি যে-সে আগুন? যেন রাবণের চিতা…।” এই আগুনের কারণে শুধুই বন্য জন্তুরাই নয়, গাছপালাও ভয়ে যেন কাঠ হয়ে থাকে।
পূর্ণতার চিত্র
এখন সঙ্গে বর্ণিত হয়েছে পূর্ণতার চিত্র ও। দুপুরে খাওয়া জমির উপর বীজের ছড়ানোকে লেখক বলেছেন-“… পোড়া জমির উপর সবুজ রং ধরে-মাথা চারা দেয় ধান, তামাক, আর কত ফসল।”
প্রকৃতির সৌন্দর্য চিত্র
একসঙ্গে সুসং শহর ও তার মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত সোমেশ্বরী নদীর বর্ণনাতে প্রকৃতির সৌন্দর্য চিত্র প্রকাশ পেয়েছে।- “শীতকালে দেখতে ভারী শান্তসিষ্ট-কোথাও কোথাও মনে হবে হেঁটে এই পার হই।” আবার পরক্ষণেই এই নদীর ধারালো স্রোতের কথা ও মনে শিহরণ জাগায়। ধানের ক্ষেতে চিত্রটি ও স্নিগ্ধতার মুর্ত প্রতীক- “যতদূর দেখা যায় শুধু ধান আর ধান-একটা সীমাহীন নীল সমুদ্র যেন আহ্লাদের হঠাৎ সবুজ হয়ে গেছে।
উপসংহার
সব মিলিয়ে প্রকৃতির ভয়ানক ও সুন্দররূপের এক অপূর্ব মেলবন্ধন দেখা গিয়েছে আলোচ্য রচনাংশটিতে।
দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা সমস্ত অধ্যায় অনুযায়ী তার সব প্রশ্নের উত্তর