গাছের প্রতি কবির আগ্রহ
কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের ‘আমি দেখি’ কবিতাতে গাছের প্রতি কবির ঐকান্তিক আগ্রহ বা তীব্র আকর্ষণ প্রকাশিত হয়েছে। নাগরিক কবি হলেও তিনি বারবার ছুটে গিয়েছেন জঙ্গলে। জঙ্গল তাকে উন্মাদ করে, উদাস করে, আবার উন্মাদ স্বেচ্ছাচারী করে তোলে। কখনো ও চাঁইবাসা, কখনো ও বেথুয়াডহরি, কখনো উত্তরবঙ্গে তিনি হারিয়ে যান। কখনো সবুজের সান্নিধ্য যেন কবির ‘প্রাণের আরাম, আত্মার শান্তি’। গাছ, জঙ্গল, সবুজ কবি অত্যন্ত ভালোবাসা। একে শৌখিনতা লতা বলে লঘু করা যায় না।
সবুজ গাছের প্রয়োজনীয়তা
এই অকৃত্রিম জঙ্গলপ্রেমী, গাছপালা, সবুজের কাঙাল কবি দীর্ঘকাল শহরে বন্দী হয়ে আছে। তার মন ভালো নেই। শরীর ও মনের আরোগ্যের জন্য তার গাছ দেখা, সবুজের সান্নিধ্য পাওয়া অত্যন্ত জরুরী। শহরের ক্লোরোফিলের অভাব। শহরের অসুখ গ্রাস করেছে সবুজ। তবু বাঁচতে হবে কবি কে, বাঁচাতে হবে শহরের মানুষদের। তাই কবি বিকল্প কথা ভেবেছেন, যদিও প্রয়োজনের তুলনায় তা অতি সামান্য। শুভবোধ সম্পন্ন মানুষের কাছে খুবই আবেদন করেছেন শহরে গা জানতে, বাগান করতে। সবুজ গাছ ভরা বাগান শুধু কবি দেখাবেন না, সকলে দেখবে। ‘আমি’ শুধু কবি নন, প্রত্যেক ‘আমি’ আসলে প্রত্যেক মানুষ। কবি মানুষের প্রতিনিধি হয়ে গাছের কাছে নিজের ও সকলের সুস্থতা কামনা করেছেন।
দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা সমস্ত অধ্যায় অনুযায়ী তার সব প্রশ্নের উত্তর