“গল্পটা মনে পড়লেই হাসি পেত।” -কোন গল্প স্মরণ করলে হাসি পেত? গল্পটা মনে পড়লে কেন হাসি পেত?

পাথর থামিয়ে দেওয়ার গল্প

কর্তার সিং দুগ্গাল রচিত ‘অলৌকিক’ গল্পটি থেকে প্রশ্ন প্রদত্ত অংশটি গৃহীত হয়েছে। বলী কান্ধারি যখন গুরু নানককে আঘাত করার জন্য পাহাড়ের উপর থেকে পাথর গড়িয়ে দেন, তখন গুরু নানক প্রায় তার কাছে এসে পড়ে পাথরটাকে হাতে স্পর্শে থামিয়ে দেন। এই গল্পটি লেখক একসময় শুনেছিলেন এবং সেই গল্পটি কথা স্মরণ করলে লেখকের হাসি পেত।

হাসি পাবার কারণ

সকলেই সাধারণ ভাবে এ কথা জানেন যে, উঁচু থেকে গড়িয়ে পড়া কোন বস্তুর গতিবেগ ক্রমশ তীব্র থেকে তীব্রতার মাত্রা লাভ করে। বিশ্বের ক্ষেত্রে বলী কান্ধারি যখন পাহাড়ের চূড়া থেকে গুরু নানকের হত্যার জন্য পাথরের চাঙড় নিচের দিকে গড়িয়ে দেন, তখন নিচে অনুচর পরিবৃত গুরু নানক সেই পাথরটির কাছে আসতেই শান্তভাবে হাতের ছোঁয়ায় থামিয়ে দেন। এ হেলো ঘটনা সাধারণ বুদ্ধিতে অবিশ্বাস্য ও হাস্যকর লাগে। একই সময়ে গুরু নানক পাথর সরিয়ে জল স্রোতের সৃষ্টি করেছেন, এই ঘটনাটি বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিতে যুক্তিসম্মত। কিন্তু পতনশীল পাথরের চাঙড়ের কেবল হাতের ছোঁয়ায় অতি সহজে থামিয়ে দেওয়ার গল্পটি নেহাত‌ই আজগুবি ও নির্বোধ কল্পনা প্রস্তুত অথচ সকলে তা যথার্থ বলে মানে। এই কথা ভেবে লোকের হাসি পেত, যে হাসিতে কিছুটা বিদ্রুপ মিশে থাকতো।

দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা সমস্ত অধ্যায় অনুযায়ী তার সব প্রশ্নের উত্তর

Leave a Comment