প্রসঙ্গ
‘ক্রন্দনরতা জননীর পাশে’ কবিতার সামাজিক অবক্ষয়ের চিত্র ফুটে উঠেছে। দেশবাসীর কাছে রাজনীতি যখন যুদ্ধনীতিতে পরিণত হয়েছিল তখন দেশের শাসক সম্পর্কে কবির মনে জমা হয়েছিল ঘৃণা। ‘নিহত ভাইয়ের শবদেহ’ দেখে কবির মনে ক্রোধ জাগরিত হয়েছিল, মনে হয়েছিল সেটাই স্বাভাবিক। সেই প্রসঙ্গে উদ্ভিতাংশের উপস্থাপনা।
তাৎপর্য
সামাজিক অবক্ষয়ের যুদ্ধ শাসকের রক্ত চক্ষু দেখে সাধারণ মানুষের প্রতিবাদের ভাষা হারিয়েছিল। শিল্পীর শিল্প অর্থ হারিয়েছিল। মূল্যহীন হয়ে পড়েছিল ভালোবাসা-সমাজ-মূল্যবোধ। ‘নিহত ভাইয়ের শবদেহ দেখে’ অথবা ‘যে মেয়ে নিখোঁজ, ছিন্নভিন্ন/জঙ্গলে তাকে পেয়ে’ও যখন সাধারন মানুষের নির্বিকার তখন কবি বিস্মিত হন। আসল স্বদেশের সীমানাহীন দুর্দশা কবি শুনতে পেয়েছেন জননের কান্না। জননীর অশ্রুপাতের হাহাকারে ক্ষুদ্র কবি অনুতপ্ত বোধ করেছেন। তার বিবেক জাগরিত হয়েছে। ক্রন্দনরতা জননীকে কোনভাবেই তিনি ত্যাগ করতে পারেন না। স্বজনদের মৃত্যু দেখে বিধির বিচার চেয়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে চুপচাপ থাকতে পারেন না। সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতা এবং মানুষের প্রতি ভালোবাসা থেকে অন্যায়ের সঙ্গে আপস করতে পারেন না কবি। ভাইয়ের শবদেহ দেখে প্রতিহিংসা জাগ্রত না হলে ভালোবাসা, সমাজ মূল্যহীন হয়ে পড়বে।
দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা সমস্ত অধ্যায় অনুযায়ী তার সব প্রশ্নের উত্তর