“কি অমর-এবার হাসি পাচ্ছে?… এবার নিশ্চয়ই লোকের খুব হাসি পাবে?” -কোন পরিপ্রেক্ষিতে বক্তা এ কথা বলেন?

বাংলা নাট্য আন্দোলনের অগ্রণী পথিক শম্ভু মিত্রের ‘বিভাব’ নাটকের শম্ভু মিত্র চরিত্রটি এ কথা বলেছেন।

নাট্যকারের প্রকৃত উপলব্ধি

সে ছিল এক অগ্নিগর্ভ সময়। মহাযুদ্ধ, মহামারী, দাঙ্গাবিধ্বস্ত কলকাতা শহরের বুকে আছড়ে পড়ে শরণার্থীদের ঢেউ। দেশভাগের ফলে ভিটেমাটি-স্বজন হারানো মানুষ প্রত্যক্ষ করে এক ভয়াবহ বিপর্যয়কে। হাসি-আনন্দ মুছে যায় বাঙালির জীবন ও সমাজ থেকে। অথচ তা নিয়ে ব্য‌ঙ্গে না দিলেন রাজনৈতিক নেতা-মন্ত্রী, বাঙালিকে ‘কাঁদুনে জাত’ আখ্যা দিলেন। এরই প্রতিক্রিয়ায় সমাজের প্রতি দায়বদ্ধ নাট্যকার বেরিয়ে পড়েন হাসির সন্ধানে।

কিন্তু ভালোবাসার অভিনয় সমৃদ্ধ নাট্য দৃশ্যের হাসির খোরাক না পেলে বিফল মনোরথে তারা বেরিয়ে পড়েন বাইরের জগতে। কিন্তু না, সেখানেও খুঁজে পাওয়া গেল না হাসির খোরাক। বরং তারা মুখোমুখি হলেন একদল অন্নহীন মানুষের। নিরুপায়, নিরাশ রায় মানুষগুলো চাল আর কাপড়ের দাবি জানি এ মিছিল করে এগিয়ে আসে। পুলিশের নিষেধ আগ্রহ্য করে তারা। পুলিশের গুলিতে লুটিয়ে পড়ে প্রতিবাদী ছেলেটি। সারা স্টেজ তখন আলোয় আলোয় ঢাকা। তারই মধ্যে অমর আহত মেয়েটির মাথায় যখন হাত দেয় তখনই নাটকের অন্যতম চরিত্রের স্বয়ং নাট্যকার শম্ভু মিত্র বলেন-“কি অমর- এবার হাসি পাচ্ছে?”

দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা সমস্ত অধ্যায় অনুযায়ী তার সব প্রশ্নের উত্তর

Leave a Comment