বক্তা ও শ্রোতা
অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘নানা রঙের দিন’ একাঙ্ক নাটকের মুখো চরিত্র রজনীকান্ত চট্টোপাধ্যায় পার্শ্ব চরিত্র কালীনাথ কে উদ্ধৃত কথাগুলি বলেছেন।
প্রসঙ্গ
উইলিয়াম শেক্সপিয়রের ‘ওথেলো’ নাটকের নাম চরিত্র ওথেলোর কিছু সংলাপ রজনীকান্ত এই নাটকে উচ্চারণ করেছেন। ওথেলোকে যখন ইয়াগো, ডেসডিমোনা এবং ক্যাসিওর সম্পর্কে কথা জানান তখন ওথেলো মানসিকভাবে খুব ভেঙ্গে পড়ে। যুদ্ধ থেকে প্রাপ্ত গৌরব তার জীবনের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছিল। সেই সব কিছুকে তিনি বিদায় জানান। কারণ মান, গৌরব সবই আজ তার কাছে অর্থহীন।
বক্তব্যের বঙ্গানুবাদ
নাটকের প্রাপ্ত ‘ওথেলো’র সংলাপ গুলোর বাংলা করলে পাই-এখন চিরদিনের জন্য বিদায় জানালেন মনের শান্তিকে, তৃপ্তিকে। অশান্ত মনের কারণে তিনি পালকের সজ্জিত শিরস্ত্রাণ পড়া সৈন্যদল এবং বড় যুদ্ধ গুলোকে বিদায় জানালেন জীবন থেকে। বীরের জীবনে লক্ষ্য যুদ্ধ জেতা, যা একজন বীর যোদ্ধা সবচেয়ে বড় গুণ। তিনি বিদায় জানালেন তূর্য ভারতীয়বাসীকে যা যুদ্ধক্ষেত্রে খুব জোরে বাজে। বিদায় জানালেন যুদ্ধ মগ্ন ঘোড়াদের হ্রএষআধ্বনইকএ, মনকে উদ্বুদ্ধ করে এমন ড্রামের আওয়াজ, ছোট তীক্ষ্ণ আওয়াজ বাঁশিকে। বিদায় জানালেন রাজপতাকা, যুদ্ধের জাঁকজমকপূর্ণ ও গর্বময় স্মৃতি কে। (প্রকৃতপক্ষে তিনি জীবন যুদ্ধকেই ত্যাগ করলেন।)
দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা সমস্ত অধ্যায় অনুযায়ী তার সব প্রশ্নের উত্তর