ব্যক্তি মানুষের শৈশব থেকে মৃত্যু পর্যন্ত সময়ের সাপেক্ষে তার ভাষার রূপান্তরের আলোচনাকে ব্যক্তির বৃত্তীয় ভাষাতত্ত্ব বলে। আবার একটি ভাষা সম্প্রদায় কালে কালে বিবর্তনের সামগ্রিক আলোচনাকে জাতীয় বৃত্তীয় ভাষায় তত্ত্ব বলে। এই জাতি বৃত্তীয় ভাষাবিজ্ঞান কেই বলে ঐতিহাসিক ভাষাবিজ্ঞান। এর স্পষ্ট দুটি পর্ব হল-
(১) ঐতিহাসিক পর্ব।
(২) প্রাগৈতিহাসিক পর্ব।
ঐতিহাসিক পর্ব
ভাষা ইতিহাসে লিখিত উপাদান বা প্রমাণাদি যে সময় পর্যন্ত পাওয়া যায়, সেখান থেকে বর্তমান কাল পর্যন্ত পর্ব কে ঐতিহাসিক পর্ব বলে। প্রাচীন পুঁথি, প্রত্নলিপি, মৌখিক সাহিত্য, লোক কাহিনী ইত্যাদি জীবন নির্ভর পাঠ বিন্যস-পর্যালোচনা এখানেই হয়ে থাকে। উল্লেখযোগ্য যে, এখান থেকেই ভাষার লিপিমালার উদ্ভব ও বিকাশের ব্যাখ্যা করা যায়।
প্রাগৈতিহাসিক পর্ব
ঐতিহাসিক পর্বের পূর্বে পুরা কালে আদি মানুষের যে ভাষা, যার কোন প্রমাণ থাকে না, শুধু অনুমান আর বিজ্ঞান নির্ভর যুক্তির মাধ্যমে সেই সময়ের ভাষার উৎস ও বিকাশকে ব্যাখ্যা করা হয়। এভাবে ভাষা বংশ সমূহ উৎস অন্বেষণ সম্ভাব হয়েছে। প্রাগৈতিহাসিক পর্ব আলোচনা চারটির ক্ষেত্র নিম্ন রূপ-
১. অভ্যন্তরীয় পূনর্গঠন।
২. বাহ্য পূনর্গঠন।
৩. উপভাষাগত ভূগোল।
৪. শব্দের পরিসংখ্যান।
এই ধারাগুলির প্রয়োগে বর্তমানে প্রচলিত ভাষার উৎস পৌঁছানো যায় ঐতিহাসিক এবং প্রাগৈতিহাসিক পর্বের আলোচনার মধ্যে দিয়ে।
দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা সমস্ত অধ্যায় অনুযায়ী তার সব প্রশ্নের উত্তর