“এ তল্লাটে ওঁর কুয়ো ছাড়া আর কোথাও জল নেই।”- কোন তল্লাটে কথা বলা হয়েছে? কোন পরিস্থিতিতে ‘ওঁর কুয়ো-র সন্ধান পাওয়া গেল?

হাসান আব্দালের জঙ্গল

কর্তার সিং দুগ্গাল রচিত ‘অলৌকিক’ নামক ছোট গল্পটি থেকে উদ্ধৃত অংশটি নেয়া হয়েছে। ‘এ তল্লাটে’ বলতে হাসান আব্দালের জঙ্গলকে বোঝানো হয়েছে। ওই অঞ্চলটিতে এই গুরু নানক তার শিষ্যদের সঙ্গে নিয়ে ঘুরতে ঘুরতে এসে পৌঁছেছিলেন। ‘ভয়ানক গরম’-এ জঙ্গলে চারিদিকে নিস্তব্ধ, শুধু বালি আর পাথরের চাঙড়ের স্তুপ ‘ঝলসে যাওয়া শুকনো গাছপালা’ । জনমানবের চিহ্নমাত্র ও নেই কোথাও। রুক্ষ-শুষ্ক সেই পাথরের জঙ্গল এলাকায় গুরু নানক ‘এ তল্লাটে’ বলে চিহ্নিত করেছিলেন।

একমাত্র কুয়োর সন্ধান প্রাপ্তি

গুরু নানক যখন শীর্ষ দল পরিবৃত হয়ে হাসান আব্দালের জঙ্গলে এসে পৌঁছেছিলেন, তখন তার অন্যতম অনুছো আর মর্দানা অত্যন্ত তৃষ্ণার্ত হয়ে পড়ে। সে তৃষ্ণা কাতর অবস্থায় আর এক পাও এগোতে রাজি হয় না, গুরু নানকের অনুরোধে ও তার আর চলার সামর্থ্য ছিল না। অথচ সে না এগোলে তাকে রেখে অন্যদের এগোনো অসম্ভব। জলের জন্য কোন মতে পরবর্তী গ্রামের দিকে সকলের সঙ্গে মর্দানাকে গুরু নানক এগিয়ে যাওয়ার কথা বলে ও সে কিছুতে আর চলতে পারেনি।

এইরকম অসহায় প্রতিকূল পরিস্থিতিতে গুরু নানক শেষ পর্যন্ত মর্দানাকে বললেন যে, সেই অঞ্চলে বলী কান্ধারি না আমি এক দরবেশ পাহাড়ের চূড়ায় কুটির বেঁধে বাস করেন এবং সেখানে একমাত্র তার নিজস্ব কুয়া ছাড়া আর কোথাও জলের চিহ্ন মাত্র নেই। এইভাবে গুরু নানকের বক্তব্যের সূত্র ধরেই ওই তল্লাটে বলী কান্ধারি একমাত্র কুয়াটির সন্ধান সূত্র পাওয়া যায়।

দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা সমস্ত অধ্যায় অনুযায়ী তার সব প্রশ্নের উত্তর

Leave a Comment