ভূমিকা
সমাজ সচেতন মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় ১৯৪২ খ্রিস্টাব্দে দুর্ভিক্ষ মন্বন্তরের পটভূমিতে লেখা ‘কে বাঁচায়, কে বাঁচে’গল্পে ফুটে উঠেছে গ্রাম ছেড়ে শহরে চলে আসা শ্রমজীবী মানুষের জীবন সংগ্রামী চিত্র। অসংখ্য নিরন্ন মানুষের হাহাকারে গল্পে খুব স্পষ্টভাবে উঠে এলেও মার্কসীয় দৃষ্টিভঙ্গিতে বিশ্বাসী লেখক নিখিলের মাধ্যমে তুলে ধরেছেন আসার আগের কথা।
নিখিলের উপলব্ধি
আলোচ্য গল্পের শুরুতে নায়ক মৃত্যুঞ্জয়ের ‘অনাহারে মৃত্যু’প্রত্যক্ষ করার মধ্য দিয়ে শহরের ফুটপাথে ঘটে চলা অগণিত মৃত্যুর ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে। পরবর্তী পর্যায়ে লেখক সে যন্ত্রনা রচনা করেছেন, তা তৎকালীন সময়ে সাক্ষ্য বহন করেছে। সে সময়ের সঙ্গে, সে অসহায় অন্নহীন মানুষগুলোর সঙ্গে লগ্ন হয়ে থেকেও কিছু করতে না পারার হতাশায় মানসিক বিকৃতির শিকার হয়েছে মৃত্যুঞ্জয়। অন্যদিকে সমাজ সচেতন নিখিল যুক্তি বুদ্ধি দিয়ে উপলব্ধি করেছে সমাজে গরিব অবক্ষয়ের কারণ। সে বিশ্বাস করেছে বৃহত্তর সামাজিক ক্ষতির বিপরীতে কোন মানুষ একক প্রচেষ্টা যথেষ্ট নয়। তাই সে ভেবেছে নিরন্ন মানুষগুলিকে যদি স্বার্থপর বানিয়ে তোলা যায়, তবেই তারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে পারবে।
আশাবাদের ইঙ্গিত
আসলে মার্কসবাদে বিশ্বাসী মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় মনে করেছেন, শোষণ যদি মাত্রা ছাড়া হয়, তবেই তার থেকেই তৈরি হয় প্রতিবাদের ভাষা। তাই নাকি এভাবেই অসহায় নিপীড়িত মানুষগুলোর ভয়ঙ্কর জীবন যন্ত্রণা এবং বিপর্যস্ত অবস্থা থেকে মুক্তির উপায় খুঁজতে চেয়েছেন। উদাসীন উচ্চবিত্ত এবং স্বার্থপর মধ্যবিত্তের ‘পৈশাচিক নিষ্ঠুর কল্যাণ’ সাধনের পরিবর্তে নিরন্ন মানুষগুলির ক্ষুধার যন্ত্রণাকে বাড়িয়ে তুলে নিখিল তথা মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের গল্প রচনা করতে চেয়েছেন সুদিনের সম্ভাবনা।
দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা সমস্ত অধ্যায় অনুযায়ী তার সব প্রশ্নের উত্তর
‘কে বাঁচায়, কে বাঁচে’গল্পটির প্রথম কোন পত্রিকায় প্রকাশিত হয় ?
মৃত্যুঞ্জয়ের সঙ্গে মৃত্যুর প্রথম সাক্ষাৎ কখন হয়েছিল ?
অপিস যাবার পথে মৃত্যুঞ্জয় প্রথম কি দেখল ?
ছোট গল্প হিসেবে মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘কে বাঁচায়, কে বাঁচে’গল্পটির কতখানি সার্থক, আলোচনা করো ?
‘কে বাঁচায়, কে বাঁচে’গল্পের নায়ক মৃত্যুঞ্জয়ের চরিত্র আলোচনা করো ?
‘কে বাঁচায়, কে বাঁচে’গল্প অবলম্বনে মৃত্যুঞ্জয় স্ত্রী তথা টুনুর মা-এর চরিত্র আলোচনা করো ?
‘কে বাঁচায়, কে বাঁচে’ছোট গল্প অবলম্বনে নিখিল চরিত্রটি পর্যালোচনা করা ?
‘কে বাঁচায়, কে বাঁচে’গল্পে লেখকের মানবদরদি মানসিকতা কিভাবে ফুটে উঠেছে, তা আলোচনা করো ?
“একটু অবজ্ঞার সঙ্গে ভালও বাসে” -কে , কাকে, কেন পছন্দ করত বা ভালোবাসত ?
“এ অপরাধের প্রায়শ্চিত্ত কি ?” -কোন অপরাধের কথা বলা হয়েছে ? বক্তা কেন নিজেকে অপরাধী মনে করেছেন?
“দরদের চেয়ে ছোঁয়াচে কিছু নেই এ জগতে” -কোন প্রসঙ্গে বলা হয়েছে? এমন বলার কারণ কি?
“এভাবে দেশের লোককে বাঁচানো যায় না।” -কে, কেন এবং কিভাবে দেশের লোককে বাঁচাতে চায় ?
‘শহরের আদি অন্তহীন ফুটপাথ ধরে সে ঘুরে ঘুরে বেড়ায়।’ – ‘ঘুরে ঘুরে’ সে কি দেখে এবং কি উপলব্ধি করে?
“তার অভিজ্ঞতার কাছে কথার মারপ্যাঁচ অর্থহীন হয়ে গেছে।” -কারো অভিজ্ঞতা? এমন বলার কারণ কি