“এই পরে বুকে ভরসা এলো”- কি পড়ে কেন ভরসা এল?

কাবুকি থিয়েটারের নাট্যাভিনয়

বিশিষ্ট রাশিয়ান চিত্র পরিচালক সের্গেই আইজেনস্টাইন একটি ইংরেজি লেখায় জাপানের ‘কাবুকি’ থিয়েটারের নাট্যভঙ্গি অসামান্য প্রয়োগ অভিভূত হয়েছিলেন। সেই নাটকে একজন নাইট প্রচন্ড রেগে দুর্গ থেকে বেরিয়ে দূরে হেঁটে যাচ্ছেন এ বিষয়টি বোঝাতে মঞ্চ শিফটাররা একটি বিরাট দুর্গ তার হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে রইলো আর নাইট যত এগিয়ে এলো ক্রমান্বয়ে ছোট দরজা নিয়ে এসে এক অনুপাতিক বিন্যাস রচনা করলো। যা দেখে নাইটের বহুদূর হেঁটে আসা বোঝানো হলো। আমার এক কাল্পনিক লড়াইয়ের দেশে এক সৈনিকের মৃত্যু হল। শিল্প সুন্দর সেই মৃত্যু দৃশ্যের যখন তার বিধবা স্ত্রী এসে বুকফাটা কান্নায় ভেঙে পড়ল তখন মৃত সৈনিকের ভূমিকায় অভিনেতা উঠে চলে গেল। কারণ দর্শকের কাছে সেই মর্মান্তিক শোক‌ই তখন মুখ্য, মৃত সৈনিক গৌণ। নাটকের নতুন রীতি পদ্ধতির নাট্যকার শম্ভু মিত্রের মনের ভরসা লাগিয়েছিল।

পাশ্চাত্য আনুগত্য

ঔপনিবেশে কলকাতার সংস্কৃতি চর্চার ক্ষেত্রে এক ধরনের অন্ধপ্রশ্চাত্য অনুগত্য ছিল। শিল্প রীতি সাহেব বা প্রাশ্চাত্য পণ্ডিত মহলে প্রশংসিত না হলে তা দেশীয় সমালোচকদের কাছে গৃহীত হতো না। যদিও এরকম নাট্য রীতির শিকড় সম্ভব মিত্র খুজে পেয়েছিলেন বিভিন্ন প্রাদেশিক নাটকে। কিন্তু দেশজ শিল্প কতটা সমাদৃত হতো এই নিয়ে তার যথেষ্ট সন্দেহ ছিল। এই পরনির্ভরতা সংস্কার কে বিদ্রুপ করে শম্ভু মিত্র বলেছেন-সাহেব যখন একে সার্টিফিকেট দিয়েছেন তখন কলকাতার সুধি মহলেও এই নাটক সাদরে গৃহীত হবে।

দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা সমস্ত অধ্যায় অনুযায়ী তার সব প্রশ্নের উত্তর

Leave a Comment