“এই ঘরের মধ্যে জীবনকে উপলব্ধি করা যাবে না”- ‘জীবনকে উপলব্ধি’ করার জন্য বক্তা কি করেছিলেন? শেষে তার কি রূপ অভিজ্ঞতা হয়েছিল?

জীবনকে উপলব্ধি

‘বিভাব’ নাটকের উদ্ধৃতাংশটির বক্তা নাট্যকার তথা অভিনেতা শম্ভু মিত্র। নাটকের বিষয় সন্ধানে জননুচিকে প্রাধান্য দিতে গিয়ে ঘরে বসে হাসির খোরাক না পেয়ে শম্ভু মিত্র তার সহ অভিনেতা অমর গাঙ্গুলী কে নিয়ে পথে বেরিয়ে পড়লেন। বিশেষ নাট্য ভঙ্গের মাধ্যমে তাদের সামনে একটা ব্যস্ত রাস্তায় দৃশ্য উপস্থাপিত হল। এক একজন ব্যক্তি কেউ একটি মোটরের, কেউ বাসের, কেউ হাত রিক্সার, কেউ ট্রামের ছবি নিয়ে মুখে আওয়াজ করতে করতে তাদের অতিক্রম করে যায়। আমার যেন বাসে চাপা পড়েছিলেন তাকে টেনে সরিয়ে নিয়ে শম্ভু মিত্র বাস চালককে ধমকে ওঠে। এরপর রাস্তার ধারে তারা হাঁটতে থাকেন। একটা মিছিলের ‘চাল চাই, কাপড় চাই’ স্লোগান তাদের কানে আসে। অন্য দিক থেকে পুলিশ ধেয়ে আসতে দেখে ঝঞ্ঝাট এড়াতে তারা দুজন পালিয়ে আত্মগোপন করেন।

জীবনের উপলব্ধিতে অভিজ্ঞতা

জীবনের উপলব্ধিতে তারা প্রত্যক্ষ করেন মুখোমুখি পুলিশ ও মিছিল কে। সার্জেন্ট মিছিলে লোকেদের ফিরে যেতে বলেন। কিন্তু মিছিল কারীরা সে নির্দেশ আগ্রহর করে স্লোগান দিতে থাকে, পুলিশ গুলি চালায়। একটি ছেলে ও একটি মেয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। পুলিশ সার্চ করতে করতে চলে যায়। মঞ্চ লাল আলোয় ভরে যায়। মোর ছুটে এসে আহত মেয়েটির মাথায় হাত দেন। শম্ভু মিত্র উপলব্ধি করেন, মন্বন্তর-উত্তীর্ণ দীঘা বিভক্ত বাঙালি জীবন উদ্বাস্তু সমস্যা ও খাদ্য সংকটে জর্জরিত। সেখানে হাসির আর কোন উপাদানই অবশিষ্ট নেই।

দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা সমস্ত অধ্যায় অনুযায়ী তার সব প্রশ্নের উত্তর

Leave a Comment