কমিশন উচ্চ শিক্ষার দুটি স্তরের সুপারিশ করেছেন তার শিক্ষার কাঠামোতে যা নিচে আলোচনা করলাম।
স্নাতক স্তর ছাতক স্তরের শিক্ষা কাল তিন বছর, এখানে ১৮+ বয়সের শিক্ষার্থীরা প্রথম বর্ষে ভর্তি হওয়ায়। এবং তৃতীয় বর্ষে অর্থাৎ ২১ বছর বয়সে শিক্ষা শেষ হয়।
স্নাতকোওর সার্থক স্তরের শিক্ষা শেষ করে শিক্ষার্থী স্নাতকোওর শিক্ষা স্তরে ভর্তি হয়। স্নাতকোওর স্তরের শিক্ষা কাল হলো দু বছরের। শিক্ষার বয়সকাল হলো ২১+ থেকে ২৩ বছর পর্যন্ত।
উচ্চ শিক্ষার স্তরের পাঠক্রম
সংগঠিত এবং প্রথাবদ্ধ শিক্ষার সর্বোচ্চ স্তর বা বিদ্যালয় শিক্ষার স্তর। এটি মূলত বিশ্বাসীকরণের স্তর। কারণ এই স্তরের পাঠক্রম বহুমুখী। যার প্রধান উদ্দেশ্য হল শিক্ষার্থী পরিপূর্ণ বিকাশে মধ্যে দিয়ে সমগ্র সমাজের সব স্তরের উন্নয়ন ঘটানো। উচ্চশিক্ষা পাঠক্রমকে তিনটি পর্যায়ে ভাগ করে নিম্নে আলোচনা করা হলো –
১ স্নাতক স্তরের সাধারণ ধর্মী পাঠক্রম
উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে স্নাতক স্তনের পাঠক্রমে রয়েছে, মানবিক বিভাগ, বিজ্ঞান বিভাগ ও বাণিজ্য বিভাগ।
মানবিক বিভাগের মধ্যে ভাষা, সমাজবিজ্ঞান, দর্শন, অর্থশাস্ত্র, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, শিক্ষা ইত্যাদি অনেক বিষয় থাকে।
বিজ্ঞান বিভাগের মধ্যে গণিত, রসায়ন, পদার্থবিদ্যা, ভূবিদ্যা, কৃষিবিজ্ঞান, জীববিদ্যা, উদ্ভিদ ও জীববিদ্যা, মনোবিদ্যা ইত্যাদি অনেক বেশি থাকে।
বাণিজ্য বিভাগের মধ্যে হিসাবশাস্ত্র, অর্থনৈতিক ভূগোল, ম্যানেজমেন্ট ইত্যাদি অনেক বিষয় থাকে।
২ স্নাতকোওর স্তরে বিশেষ ধর্মীয় পাঠক্রম
স্নাতকোওর স্তরের শিক্ষার তিনটি ধরনের বিভাগ রয়েছে স্নাতক স্তরের মতো। এখানে শিক্ষার্থীরা এক একটি বিষয় নিয়ে বিশেষ শ্রমিক শিক্ষা লাভ করে।
৩ বৃত্তি কারিগরি শিক্ষা পাঠক্রম।
বৃত্তি কারিগরি শিক্ষা পাঠক্রমের বিভিন্ন বিভাগ অনুযায়ী পাঠক্রম আছে। চিকিৎসাবিজ্ঞান, ইঞ্জিনিয়ারিং, আইন প্রভৃতি বিভাগে বিভিন্ন ধরনের বিষয় পড়ানো হয়। ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে যে সকল বিষয় পড়ানো হয় সেগুলি হল – সিভিল, ইলেকট্রিক্যাল, ইনফরমেশন টেকনোলজি, মাইনিং, কম্পিউটার সাইন্স, পেইন্টিং প্রিন্টিং ইত্যাদি।