“আমি তা পারি না।” -কবি কি পারেন না? “যা পারি কেবল” -কবি কি পারেন?

কবি যা পারে না

‘ধানক্ষেত থেকে’ কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত ‘ক্রন্দনরতা জননীর পাশে’ কবিতায় কবি মৃদুল দাশগুপ্তের সমাজ সচেতনতা পরিচয় পাওয়া যায়। কবি সমাজের চরম অবক্ষয়ের দিনের চুপ করে থাকতে পারেননি। ‘নিহত ভাইয়ের শবদেহ দেখে’ বিবেকবান কবি ক্রোধে গর্জে উঠতে চেয়েছেন। ‘যে মেয়ে নিখোঁজ, ছিন্নভিন্ন/জঙ্গলে তাকে পেয়ে’কবি ভাগ্যের হাতে নিজেকে সঁপে দিতে পারেননি। আর পারেননি বলেই কবি প্রতিবাদের মাধ্যম হিসেবে বেছে নিয়েছে আলোচ্য কবিতাকে।

কবি যা পারেন

কবি জানেন তার কলম জন্ম দিতে পারে বিদ্রোহের। দেশবাসীর কাছে রাজনীতি যখন পরিণত হয়েছিল রাজনীতিতে। শাসক দলের রক্ত চক্ষুর আস্ফালনে আপামর জনগণ নিরব হয়ে গেলে, কবি বলেছিলেন একা একা প্রতিবাদ করা যাবে না। তাই আলোচ্য কবিতার মাধ্যমে কবি বৃহত্তর আন্দোলনের সূচনা করতে চেয়েছেন। বিবেক মূল্যবোধের তাড়নায় কবিতার শব্দের শক্তি দিয়ে মানুষের মনে বিস্ফোরণ ঘটাতে চেয়েছেন। কবির সজাগ বিবেক কবিকে বাধ্য করে জন্মভূমির প্রতি দায়বদ্ধ থাকতে, মানুষ হিসেবে যাবতীয় সংবেদন সমেত মানুষের পাশে দাঁড়াতে। আর এই অঙ্গীকারের মধ্যে দিয়ে কবির প্রতিবাদী সত্তাটিই স্পষ্ট হয়ে ওঠে।

দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা সমস্ত অধ্যায় অনুযায়ী তার সব প্রশ্নের উত্তর

Leave a Comment