বাঙালির কুস্তি চর্চা
আমাদের মহাকাব্য গুলিতে (রামায়ণ, মহাভারত) ‘কুস্তি’ মল্লযুদ্ধ বা মল্লক্রিড়া নামে পরিচিত ছিল। ২০ শতকের দ্বিতীয় দশক থেকে কুস্তি মধ্যবিত্ত বাঙালির মধ্যে ক্রমশ জনপ্রিয় হয়ে উঠতে থাকে।। ষ এই জনপ্রিয়তার নেপথ্যে ছিলেন যতীন্দ্রচরণ গুহ ওরফে গোবর গুহ। তিনি ভারতীয় কুস্তিকে বিশ্বের দরবারে সসম্মানে উপস্থাপিত করেন। তিনি বিশ্বের নানা দেশে কুষ্টি প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন এবং সাফল্য অর্জন করেন। তার পিতামহ অম্বিকা চরণ গুহ ছিলেন বঙ্গদেশের আখড়া সংস্কৃতির জনক। যতীন্দ্রচরণ পিতামহের কাছে এবং বিখ্যাত কুস্তিগিরি খোলসা চৌবে ও রহমানির তালিম নেন। আমেরিকা, ইংল্যান্ড, প্যারিস, ইতালি, সুইজারল্যান্ডের বিভিন্ন কুস্তিগীরের সঙ্গে লড়াইয়ে তিনি জয়ী হন। তিনি প্রথম এশীয় যিনি কুস্তিতে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হন। ধোকা, টিব্বি, কুল্লা ইত্যাদি বহু নতুন প্যাঁচ এর উদ্ভাবন করেন তিনি ভারতীয় কুস্তির শৈলীকে সমৃদ্ধ করেন।
যতীন্দ্র চরণের পিতামহের আখড়ায় আর এক কুস্তি গিরি গড়ে ওঠেন। তার নাম ফনীন্দ্রকৃষ্ণ গুপ্ত। অম্বিকা চরণের মৃত্যুর পর ফনীন্দ্রকৃষ্ণ নিজের বাড়ির কাছে আখড়া খুলে নিয়মিত পুষ্টি ও ব্যায়াম চর্চা করেন এবং বহু বাঙালি অবাঙালি তরুণীকে কুস্তির তালিম দেন। তিনি ছিলেন লৌহ মানব নীলমণি দাসের শিক্ষক রাষ্ট্রগুরু সুরেন্দ্রনাথের সহোদর জিতেন্দ্রনাথ, স্বামী বিবেকানন্দ সহ অন্যান্য বাঙালি যুবকের চেষ্টায় কুস্তি বাঙালির জাতীয় ভাব বিকাশের সহায়ক হয়ে ওঠে।
দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা সমস্ত অধ্যায় অনুযায়ী তার সব প্রশ্নের উত্তর